• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:১৮

আজ ঐতিহাসিক সূর্যদী গণহত্যা দিবস

  • জাতীয়       
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২২       
  • ৫৭
  •       
  • ২৪-১১-২০২২, ১০:০২:৩৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আজ ২৪ নভেম্বর শেরপুরের ঐতিহাসিক সূর্যদী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে জেলার সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রামে পাকবাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শহীদ হন দুই মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪৯ নিরীহ গ্রামবাসী। প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে শহীদদের স্মৃতিতে ২০২১ সালে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। কিন্তু এখনো গণহত্যায় শহীদদের কবরগুলো চিহ্নিত করা হয়নি। এই কবরগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করা এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবার ও স্থানীয়রা। মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, ১৯৭১ সালের এ দিনে সকাল ৮টার দিকে পাক হানাদার বাহিনীরা শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রামে হামলা চালায়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহের আলবদর প্রধান মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের নির্দেশে স্থানীয় রাজাকারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই হামলা চালানো হয়। এ সময় এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে আত্মগোপনে থাকা ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও এগিয়ে যান। 
 
তারা হলেন, সোহরাব আলী, আবদুল খালেক, ফজলুর রহমান, হাবীবুর রহমান, মমতাজ উদ্দিন ও আবুল হোসেন। এরপর স্কুল মাঠে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দেয় পকিস্তানি এক সেনা কর্মকর্তা। এ সময় পার্শ্ববর্তী খুনুয়া চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিন পাশের একটি ধান ক্ষেত থেকে ফাঁকা গুলি শুরু করেন। এ গুলির আওয়াজ পেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের ফেলে রেখে মুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিন ও সূর্যদী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামানকে একটি ধানক্ষেতে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী। এদিকে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পর সূর্যদী এ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৮ মার্চ শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক সেটির উদ্বোধন করেন।  
 
সূর্যদী যুদ্ধ ও গণহত্যা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এম এ হাসেম জানান, এই দিনটিতে সূর্যদী এলাকায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পরে হলেও স্মৃতিস্তম্ভ পেয়েছি। আমাদের শহীদদের কবরগুলো চিহ্নিত করা হয়নি। আমাদের দাবি শহীদদের কবরগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সংরক্ষণ এবং শহীদদের পরিবারগুলোর যেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।