• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:২৫
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আমেরিকা মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের লালন করছে

  • জাতীয়       
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২২       
  • ৪৯
  •       
  • ২৫-১১-২০২২, ১৮:১০:৪৯

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকা মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের লালন-পালন করছে। ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে এ সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে বেলুন ওড়ানো ও শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে শুরু হয় সম্মেলনের মূল কার্যক্রম।
 
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দুইজন পাকিস্তানে, কানাডায় একজন ও যুক্তরাষ্ট্রে একজন পলাতক রয়েছে। আরেকজন কখনও জার্মানি আবার কখনও ভারতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অবৈধভাবে ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যমে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়। রাজনীতির সুযোগ দেয়া হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদেরও ধরে এনে অবশ্যই সাজা নিশ্চিত করা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদককারবারীদের হাতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিহতের ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা আর আমাদের বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যুক্তরাষ্ট্রর কোনো উদ্বেগ নেই। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, চিকিৎসা সেবা যাতে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছায়, সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রতি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতি জেলায় মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি।
 
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তারা বলে, আমরা নাকি কিছুই করিনি। ষড়ঋতুর দেশ তো! যা করি, সব ভুলে যায়। তাই মানুষকে জানানো দরকার। ভুলে যাতে না যায়, সেজন্য যা করেছি তা মাঝেমধ্যে তুলে ধরি। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর এমনভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে, মনে হয়েছিল যেন একাত্তরে পাকিস্তানিদের পাশবিকতার পুনরাবৃত্তি। 
 
৭ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আগামী নির্বাচনের আগে এবারের সম্মেলনকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে স্বাচিপ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, সম্মেলনের মাধ্যমে আসা নতুন নেতৃত্ব আগামী দিনে সংগঠনকে করবে আরও গতিশীল। গঠনতন্ত্রে স্বীকৃতি না থাকলেও চিকিৎসা অঙ্গনে সরব স্বাচিপকে বিবেচনা করা হয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনের সবশেষ সম্মেলন।
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।