• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:২৩

শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘরের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা

  • জাতীয়       
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২২       
  • ৪৮
  •       
  • ২৭-১১-২০২২, ০৯:২৬:২৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের স্মৃতি রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত জাদুঘরটির বেহাল দশা। জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ থেকে যখন-তখন খসে পড়ছে পলেস্তরা। পিলারে ধরেছে ফাটল। বৃষ্টি হলে জাদুঘরের মধ্যেই চুইয়ে পড়ে পানি। যদিও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বলছে, ভবন সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। ২০২৩ সালের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। জানা গেছে, অবিভক্ত বাংলার অবিসংবাদিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের স্মৃতি রক্ষার্থে বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নে তার বসতভিটার ২৭ শতক জমির ওপর ১৯৮২ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়। জাদুঘরটির দৈর্ঘ্য ৮৩ মিটার এবং প্রস্থ ১৪.৬০ মিটার। ১৯৮৩ সালে জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হয়। চার কক্ষ বিশিষ্ট জাদুঘরটি সাজানো হয় বিরল আলোকচিত্র, শেরে বাংলার ব্যবহৃত আসবাবপত্র, চিঠিপত্র ও শেরে বাংলাকে উপহার হিসেবে পাঠানো সৈয়দ আনিছুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির সুন্দরবন থেকে শিকার করা কুমির দিয়ে।
 
দর্শনার্থী সাগর বলেন, জাদুঘরটি এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শেরে বাংলার রাজনৈতিক ও ব্যক্তি জীবনের তথ্য এখানে এসে দেখা ও জানা যায়। কিন্তু জাদুঘরের ভবনটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ছাদের অনেক স্থানের পলেস্তরা খসে পড়েছে। আরেক দর্শনার্থী সাবিনা আক্তার বলেন, বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি। এখন ভেতরে ঢুকে ভয় লাগছে। কখন ছাদ ভেঙে মাথায় পড়ে। সরকারের উচিত দ্রুত ভবনটি সংস্কার করা। একেএম আলতাফ নামে আরেকজন বলেন, ৭-৮ মাস আগেই পলেস্তরা খসে পড়ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল দুই এক মাসের মধ্যে সংস্কার করা। তা না করায় হতাশ হয়েছি। শেরে বাংলা এ দেশের সব রাজনৈতিক দলের জন্য বহুল চর্চা এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার স্মৃতির স্থাপনায় এত উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না।
 
শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর বলরাম দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত এপ্রিল মাসে পলেস্তরা খসে পড়েছে। চারটি কক্ষের মধ্যে তিনটি কক্ষেরই একই দশা। এছাড়া পিলারের গোড়ার ফাটল থেকে বৃষ্টির দিনে পানি চুইয়ে পড়ে। এতে দর্শনার্থীদের অসুবিধা হয়। তিনি বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন দ্রুতই সংস্কার করা হবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা বলেন, পলেস্তারা খসে পড়া এবং পিলার ফেটে পানি পড়ার তথ্য আমি জেনেছি। ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যে সংস্কার শুরু হবে। কোনো কারণে চলতি বছর সংস্কার কাজ না হলেও ২০২৩ সালের মধ্যে ভবনটি পুরোপুরি সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।