• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৪১

হাইব্রিড টমেটোর চারা গ্র্যাফটিংয়ে ব্যাপক সাফল্য

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদক, নওগাঁ : নওগাঁ জেলাধীন রানীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের শিয়ালা গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বাদল নিজস্ব জমিতে ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জমিতে নতুন নতুন জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল ফসল উৎপাদন তাঁর নেশা। গতানুগতিক সাধারণ যে কোন ফসলকে ব্যতিক্রমী উপায়ে উৎপাদন করে অধিক  লাভবান হওয়ার উপায় খুঁজে বের করেন তিনি।
 
ঠিক একইভাবে এ বছর তিনি জংলী বেগুন গাছের সাথে গ্র্যাফটিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে অত্যন্ত সফলতা পেয়েছেন এ কৃষক। এ নিয়ে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাঁর এ সফলতা দেখে অনেক কৃষক গ্র্যাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
 
তাঁর ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউটিউব থেকে পেয়েছেন এক নতুন ধারনা। সেই ধারনা অনুযায়ী তাঁর নিজস্ব সম্পত্তিতে প্রয়োগ করলেন। গ্রামে জংগলে পাওয়া যায় এক ধরনের জংলী বেগুন। কেউ এটিকে বলে কাঁটা বেগুন আবার কেউ বলেন ঘুটি বেগুন। ১৫ দিনের ব্যবধানে তিনি ঘুটি বেগুনের বীজ এবং টমেটোর বীজ রোপণ করে তৈরি করলেন চারা। সেই চারা তিনি নিজস্ব ১৩ কাঠা জমিতে গ্র্যাফটিং করে রোপণ করেন। হয়ে গেল তাজা তাজা হাইব্রডি জাতের টমেটোর গাছ। সব মিলিয়ে তাঁর খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা।
 
রোপণের দুই মাস পর থেকেই গাছে গাছে ফল আসে। স্বাভাবিক টমেটোর গাছ থেকে তাঁর এ বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি গাছে অনেক বেশী বেশী টমেটো ধরেছে। ফল আস্রা পর থেকে এখন পর্যন্ত এ দুই মাসে ওই জমি থেকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ কেজি করে টমেটো উত্তোলিত হচ্ছে। এসব টমেটো বাজারে প্রতি কেজি ১১০ টাকা করে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে বিগত দু’মাসে কমপক্ষে ৪ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। আগামী আরও একমাস তিনি টমেটো বিক্রি করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন। উৎপাদনের হার থাকবে একই রকম। মূল্যও পাবেন একই। অর্থাৎ পুরো মৌসুমে তিনি কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন। খরচ বাদ দিয়ে নীট মুনাফা করবেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তাঁর এ নতুন প্রক্রিয়ায় টমেটো চাষের সফলতা দেখে এলাকার অনেক কৃষকই এখন এ পদ্ধদিতে টমেটো চাষ করতে অগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বাদলের সহায়তায় তাঁরা চাষ করতে চান।
 
রানীনগর উপজেলার কৃষি অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সময়ের প্রয়োজনে কৃষকদের নতুন নতুন অধিক উৎপাদনশীল ফসল চাষে আগ্রহী করে তুলতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় রানীনগরের চাষি বাদলসহ অনেকেই গ্র্যাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাল করে সাফল্য অর্জন করেছেন। এ ব্যপারে কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।