• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:২৫

১৬ দিন পর মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ক্ষতিপূরণ চান স্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২২       
  • ৫৩
  •       
  • ৩০-১১-২০২২, ০৯:০১:৩৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ফেনীর পরশুরাম সীমান্তের ওপারে পড়ে থাকা কৃষক মেজবাহ উদ্দিনের (৪৭) মরদেহ ১৬ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মেজবাহকে বিনা অপরাধে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তার স্ত্রী। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বিলোনিয়া স্থলবন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে বিএসএফ মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এসময় দুই দেশের সীমান্তবর্তী থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল। বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবির খেজুরিয়া কোম্পানি কমান্ডার জেসিও সুবেদার ওমর ফারুক, পরশুরাম মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এবং বিএসএফের পক্ষে সারসীমা কোম্পানি কমান্ডার এসি সত্যিয়া পাল সিং ও বিলোনিয়া থানার ওসি পারিতোষ দাস উপস্থিত ছিলেন।
 
মেজবাহ উদ্দিন পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে। গত ১৩ নভেম্বর উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামে সীমান্তবর্তী এলাকায় ধান কাটতে গেলে বিএসএফ মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন পর স্থানীয়রা তার মরদেহ ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের একশ গজ ভেতরে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবিকে খবর দিলে ১৬ নভেম্বর রাত ৩টায় বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক শেষে মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ হস্তান্তরের সময় পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, একমাত্র ছোট বোন পারুল আক্তার, চার কন্যা সন্তান, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল ও স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন সুমন। বিজিবির পরশুরামের মজুমদার হাট সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনিরুজ্জামান জানান, বিজিবি-বিএসএফ ও পুলিশের উপস্থিতিতে আইনগত প্রক্রিয়াযর মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 
 
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, এটা যে তার স্বামীর মরদেহ, তা চেনার কোনো উপায় নেই, মরদেহ অনেকটা পচে গলে গেছে। তিনি বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিএসএফ তার স্বামীকে বাংলাদেশ থেকে ধরে নিয়ে বিনা অপরাধে হত্যা করেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন সুমন জানান, গত ১৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেজবাহ উদ্দিন বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ শনাক্তের কোনো সুযোগ নেই, মরদেহ পচে গলে গেছে। ভারতের বিলোনিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক পারিতোষ দাস জানান, নিহত মেজবাহ উদ্দিনের শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনো তাদের হাতে আসেনি। অফিশিয়ালি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বাংলাদেশ পুলিশকে দেওয়া হবে। 
 
পরশুরাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ ফেরত দেওয়ায় পর ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ হস্তান্তরের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরশুরাম থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব, বিলোনিয়া বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট এমএম লাল, বিলোনিয়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ন পাল, বিলোনিয়ার মজুমদারহাট কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনিরুজ্জামান, বিলোনিয়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ইমাম হোসেন প্রমুখ।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।