• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২২

সংসদে সংরক্ষিত আসন চেয়ে সিইসির শরণাপন্ন তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন

  • জাতীয়       
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২২       
  • ৫৯
  •       
  • ৩০-১১-২০২২, ২২:২১:৪৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের দাবি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করেছে তৃতীয় লিঙ্গের একটি প্রতিনিধি দল। সারাদেশ থেকে অন্তত তিনটি আসন চান তারা। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র করাতে গিয়ে নানারকম বিড়ম্বনার সমাধান চান তারা। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডারদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা ‘সুস্থ জীবন’ নামে একটি বেসরকারি কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থা সিইসির কাছে এসব দাবি জানায়। এ সময় সিইসির কাছে একটি স্মারকলপিও জমা দেন সংস্থাটির প্রতিনিধিরা। বৈঠকে ইসি আহসান হাবিব ও রাশেদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। 
 
বৈঠকে শেষে সুস্থ জীবনের চেয়ারম্যান পার্বতী আহমেদ বলেন, আমাদের দাবি হলো সবার অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন পূর্ণ হবে। তৃতীয় লিঙ্গদের সারাদেশে যেন অন্তত তিনটি আসন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড’, কাউকে বাদ দিয়ে নয়। জাতীয় সংসদে নারী ও পুরুষ সংসদ সদস্যরা আছেন, তাহলে আমরা কোথায়? আমাদের দাবি-দাওয়া এবং আমাদের নিয়ে কাজ করার জন্য একজন প্রতিনিধি দরকার। আমাদের চাহিদা ও সুযোগসুবিধাগুলো অন্যরা কিন্তু সেভাবে বোঝেন না। যার ব্যথা সেই বোঝে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অনেকেই শিক্ষিত রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এখন অনেক শিক্ষিত মানুষ আছেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে একজন চেয়ারম্যান হলেন। আমাদের দায়িত্ব দেওয়ার হলে অবশ্যই আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারব। সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে যে নেতিবাচক মনোভাব আছে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের যদি সুযোগ দেওয়া হয় অবশ্যই আমরা কাজ করে প্রমাণ দেখাব। আমরা সমাজের মূল ধারায় চলে আসব।
 
বৈঠকের ব্যাপারে সুস্থ জীবনের চেয়ারম্যান বলেন, স্যাররা আমাদের বলেছেন কি করা যায় তারা তা দেখবেন। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই ধরনের বৈঠক করতে বলেছেন। সংবিধান কি বলে এই রকম দিকগুলোই তারা দেখবেন। পার্বতী আহমেদ বলেন, ভোটার আইডি কার্ড তৈরি ও সংশোধন নিয়েও কথা বলেছি। আমাদের অনেকেরই পুরুষ আইডি কার্ড আছে। এখন সেটা নিয়ে কোথাও গেলে সেটা গ্রহণ করে না। কারণ আইডি কার্ড একরকম, আর তাদের দেখতে আরেক রকম। তাই আমাদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। চাকরির ক্ষেত্রেও নিতে চায় না। এতে অনেক বৈষ্যমের শিকার হয়েছি। সিভিল সার্জন অফিস ও সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে আমাদের কাপড় খুলে দেখেছে। সেখানে আমাদের মানসিক ও মানসম্মানে খুব আঘাত লেগেছে। তিনি বলেন, সব জায়গাতেই আমাদের অভিভাবকের প্রয়োজন হয়। অভিভাবকরা তো আমাদের আরও ১০-১৫ বছর আগে ছেড়ে দিয়েছে। পরিবার তো আমাদের রাখে না। তাহলে কীভাবে অভিভাবক নিয়ে যাব? পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির হাকিম দিয়ে আমাদের এফিডেফিট করতে হয়। তিনি আবার থানায় পাঠান। এজন্য অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। সিইসি স্যার ও অন্যান্য স্যাররা বলেছেন তারা বিষয়গুলো দেখবেন। দরকার হলে আমাদের জন্য নতুন একটা পলিসি করে দিন যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয়। 
 
এসময় সুস্থ জীবনের সাধারণ সম্পাদক ববি ও কমিউনিটি লিয়াজু অফিসার জোনাকী জোনাক উপস্থিত ছিলেন। সিইসির কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সুস্থ জীবন একটি বেসরকারি কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থা, যা ২০০৫ সালে সরকারি অনুমোদনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সুস্থ জীবন তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডারদের জীবনমান উন্নয়নে মানবাধিকার এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটির বহুমাত্রিক কাজের ফলগুলো সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখছে। বর্তমান সময় তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অনেকটা ইতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা পেলেও তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ের নয়। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এই জনগোষ্ঠীর একজন প্রতিনিধির অংশগ্রহণ ছাড়া সম্পূর্ণভাবে যাবতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই উন্নয়নকে তরান্বিত করতে সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। এই স্বারক লিপির মাধ্যমে বাংলাদেশের পবিত্র সংসদে আমাদেরও উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে আপনি আপনার সহযোগিতা ও পূর্ণ সমর্থন পাব বলে আশা করি।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।