- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : জেলার মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে আমন ধান কাটা শেষে ঝেড়ে ঘরে তুলেছেন কৃষকেরা। এখন সেই ধান রাত জেগে সিদ্ধ করে সকাল থেকে শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণীরা। রাত-দিন পরিশ্রমের পরেও কোন ক্লান্তি নেই তাদের। নিজেদের ক্ষেতের ধান সিদ্ধ-শুকনো করার আনন্দই অন্যরকম। ওই গ্রামের কৃষাণরা পুরো মাঠে ধান শুকানোর জন্য বাড়ি থেকে সিদ্ধ ধান বস্তায় করে ভ্যান অথবা বাইসাইকেলে করে এনে মাঠে বিছানো নেটজালের উপর ঢালছেন। আর কৃষাণীরা সে ধান পা দিয়ে নেটজালে আলগা করে দিচ্ছেন। শীতের মিষ্টি রোদে সোনালী ধানে পা দিচ্ছেন কৃষাণীরা। যত বেশি ধানে পা দিবেন, ততই তাড়াতাড়ি শুকাবে ধান। মৌসুমের খাবার চাল ঘরে তোলার আগ্রহে কৃষাণীদের কাজ দেখে মনে হয় কোনো ক্লান্তি নেই তাদের। কৃষাণী সাবিনা ইয়াসমিন ও সাজেদা বেগম বলেন, আমন ধান কাটা, ঝড়া হয়ে গেছে। খাওয়ার ধান রেখে বাকি ধান বিক্রিও হয়ে গেছে। ছয় মাসের জন্য ঘরের চাল তৈরি করতে হবে। তাই ভোররাতে ধান সিদ্ধ করেছি তাই এখন মাঠে শুকাচ্ছি।
শাহিদা বেগম নামের অপর এক কৃষাণী বলেন, এখন আমরা ধান সিদ্ধ করছি খাওয়ার চাল তৈরির জন্য। সকালে বস্তায় করে সিদ্ধ ধান স্কুল মাঠে নিয়ে আসি শুকানোর জন্য। মাঠে নেট বিছিয়ে শুকাতে দিছি। আকাশের অবস্থা ভালো আছে, সারাদিনে সব ধান শুকিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। শুকানোর পরে মিলে ধান ভাঙাবো, আগামী ইরি-বোরো মৌসুম পর্যন্ত আমাদের খাওয়ার চালের জন্য আর কোন চিন্তা থাকবে না।স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসার ভগীরত চন্দ্র বলেন, এবার রাজগঞ্জ অঞ্চলে আমনে খুব ভালো ফলন হয়েছে। আশানুরূপ ফলন পেয়ে খুশি কৃষকেরা। যতদূর জানি ধানের ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা