• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:১৬

সরকার দেশকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তুলছে যেখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২২       
  • ৪৫
  •       
  • ২২-১২-২০২২, ০০:৫৯:০৬

দেশকন্ঠ  ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলছে যেখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে।তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (খ্রিস্টান সম্প্রদায়) সবাইকে বলছি, আমরা এই বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশের চেতনায় গড়ে তুলছি যেখানে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার রয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যোগদান করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে তিনি দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে একক ধর্মের মানুষ নেই, সব ধর্মের মানুষ এখানে বসবাস করছে। আমরা সকল ধর্মীয় বিশ্বাসের কল্যাণের জন্য কাজ করি।যীশু খ্রিস্ট মানব কল্যাণ ও মানবধর্ম অনুসরণের শিক্ষা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন, যা আপনি তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়া চিন’ এর মাধ্যমে দেখতে পাবেন। ‘যে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই তাঁর সরকার সবসময় সবার পাশে দাঁড়িয়েছে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে দেশের সব মানুষের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।’এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হিজড়াদের (তৃতীয় লিঙ্গ) জন্য তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন, কারণ, বাংলাদেশের সংবিধান অনগ্রসর এই জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষিত করেছে।তিনি বলেন, আমরা সংবিধানে তাদের (হিজড়াদের) অধিকার সুরক্ষিত করেছি।শুধু তাই নয়, ইসলাম ধর্ম হিজড়াদের তাদের জীবনধারা যেমন পুরুষ নারীর মতো অধিকারও নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, এখন চাকরি, সব ধরনের পরিচয়পত্র বা পরিচয়পত্রের মতো প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। ‘আমরা তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি।’

সমস্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি দেওয়ার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা হিজড়াদের জীবনযাত্রার মান ও জীবিকা উন্নত করতে তাদের বাড়িও দিচ্ছেন।‘তাদের (হিজড়াদের) চাকরি, ব্যবসা বা অন্য কোনো কাজ করার অধিকার আছে এবং আমরা তাদের জন্য এই অধিকার নিশ্চিত করছি,’ তিনি বলেন, ‘কিছু অসচেতনতা রয়েছে এবং আমরা এটি দূর করছি।’তিনি বলেন, একইভাবে হিজড়াদের জীবন ও জীবিকার মানোন্নয়নে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সরকার বেদে জনগোষ্ঠী এবং অন্যান্যদের বাড়ি ও জমি প্রদান করছে।তিনি যোগ করেছেন যে তার সরকার নিয়োগকর্তাদের বিশেষ সুবিধা বা প্রণোদনা প্রদান করছে যখন তারা এই ধরনের সম্প্রদায়ের লোকদের পাশাপাশি ভিন্নভাবে সক্ষম এবং অটিস্টিক ব্যক্তিদের নিয়োগ করছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অন্তত এটুকু বলতে পারি যে, যারা পিছিয়ে আছে তাদের দেখতে পেলে আমি তাদের এগিয়ে আনব এবং তাদের জন্য শিক্ষা, চাকরি, জীবিকা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।’ ‘এটা আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। আমরা এটি নির্মাণ করতে চাই,’ তিনি বলেন। শেখ হাসিনা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেন, তিনি নটরডেম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পরামর্শ দিয়েছেন কারণ এটি একটি স্বনামধন্য কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।‘এখন এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। আমরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং আমরা এটা করি যাতে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার পায়,’ তিনি বলেন।মসজিদভিত্তিক শিক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন মসজিদভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে, তখন হিন্দুদের মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে একইভাবে শিক্ষার ব্যবস্থা করে এবং করে চলেছে।তিনি বলেন, ‘আমি চাই আপনারা সবাই নিজ নিজ অধিকার নিয়ে এদেশে বসবাস করুন।’তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করেছেন এবং এর সুফল সব মানুষ ভোগ করবে।
দেশকন্ঠ/এআর


 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।