• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:২০

কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটা হোটেলে রুম পাচ্ছে না পর্যটকরা

  • জাতীয়       
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২       
  • ৪৩
  •       
  • ২৪-১২-২০২২, ০৮:৪৪:১৫

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের কুয়াকাটা। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে আবাসিক সংকটে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ২৩, ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি ও ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় বুকিং হয়েছে শতভাগ হোটেল মোটেল। আবাসিক হোটেলে রুম না পেয়ে আশেপাশের বাসা বাড়িতে রাত্রীযাপন করতে হয়েছে আগত ভ্রমণ পিপাসুদের। আসাবিক হোটেলের সংখ্যা বৃদ্ধির তাগিদ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী ও পর্যটকদের। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। ছুটি উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসুরা বেছে নিয়েছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটাকে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর সারা দেশের সঙ্গে কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। মাত্র ৫-৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে পর্যটকরা আসতে পারছেন কুয়াকাটায়। সাগরের বিশালতায় এতদিন কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা যে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছিলো তা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তাই দিনকে দিন কুয়াকাটায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। 
 
আবাসিক হোটেল কানসাইন এর ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর এখানে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটক নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা সরকারি ছুটি পেলেই কুয়াকাটা আসি। কিন্তু প্রতিবারই হোটেলে রুম না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রুম নিতে হয়েছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আরও ভিন্ন। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও কোথাও রুম পাওয়া যায়নি। তাই রুম না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এবারের টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদভারে মুখর সাগরকন্যা কুয়াকাটা। আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের মিতালিতে মেতে উঠেছেন। কেউ কেউ ওয়াটার বাইকে গভীরে গিয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ টিউব ভাড়া নিয়ে সাঁতার কাটছেন। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখছেন। তাদের আনন্দের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 
 
গ্রুপ নিয়ে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সৈকতে ফুটবল খেলছে। কেউ কেউ আবার বালুর ওপরে প্রিয় জনের নাম লিখে ছবি তুলছেন। মোট কথা এখানে আগত পর্যটকরা যে যার মতো আনন্দ উপভোগ করছেন। শুধুমাত্র সৈকতের জিরো পয়েন্টেই নয় আগত পর্যটকরা আশেপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠেছেন। আর এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মহিপুর থানা পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। এবারের এ ছুটির চতুর্থ দিনেও কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দিনাজপুর থেকে আসা পর্যটক মো. বারি বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে এই প্রথমবার কুয়াকাটায় এসেছি। খুবই আনন্দ উপভোগ করছি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক বেড়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে কুয়াকাটা। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কুয়াকাটা পৌরসভার সর্তক দৃষ্টি রয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছি। পর্যটন স্পটগুলোতে আমাদের টহল জোরদার করেছি।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।