- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : তথ্য গোপন, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২৬ ডিসেম্বর সোমবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার এ মামলা দায়ের করেন।অন্য আসামিরা হলেন—আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম, ভায়রা গোলাম সরোয়ার, শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার (নীনা) ও রাজউকের নকশা অনুমোদন শাখার পরিদর্শক আওরঙ্গজেব নানু। সোমবার দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী দম্পতি গোলাম সরোয়ার ও সাবেরা সরোয়ার নীনার সঙ্গে হোটেল সারিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করেছেন। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ভায়রা গোলাম সরোয়ার বনানীর ১৭ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর প্লট (যা বসতি টাওয়ার নামে পরিচিত) যৌথ নামে অ্যাকোয়ার করে রাজউকের অনুমোদিত ১৫ তলার স্থলে ২১ তলা ভবন নির্মাণ করেন।
মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, ১৯৯৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য ঢাকায় সিএসই ভবন নির্মাণের প্রয়োজনে রাজউক থেকে ঢাকার বনানী বাণিজ্যিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি নিলামে কেনা হয়। ১৯৯৯ সালে ৭৫ নম্বর বোর্ড সভায় একটি বেজমেন্ট ও পাঁচটি ফ্লোর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়ার শর্তে ডেভেলপার খসরুর ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত হয়।
ঘটনার ২১ বছর পর দুদকের এই মামলা রাজনৈতিক চাপ কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের সচিব বলেন, ঘটনা পুরনো হলে কী হবে, দুদকে যদি অভিযোগ না আসে! দুদকে অভিযোগ আসার পর দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি ডেভেলপ করার নামে ওই প্লটের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ২৫ নম্বর প্লটটি নিয়ে অনুমোদিত নকশা না মেনে উভয় প্লটে যথাক্রমে ২২ তলা ও ২১ তলা ভবন নির্মাণ শেষে পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন্টারন্যাশনাল পরিচালনা করেন। পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রীসহ অন্যরা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। তাদের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায় যে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম উভয়ই ঢাকাস্থ বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ ও ২৫ নম্বর প্লটে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন্টারন্যাশনালের শেয়ারহোল্ডার ছিলেন।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা