- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আদালতের সাহসী ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আমরা ইনডেমনিটি বাতিল করে বিচার কাজ শুরু করি। যে দিন বিচারের রায়, সে দিন বিএনপি-জামায়াত হরতাল ডেকেছিল। কিন্তু বিচারক কোনো কিছু মানেননি। সাহসের সঙ্গে রায় দিয়েছিলেন। ’ ২৬ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুড়িশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার ফের শুরু করি তখনও বাধা দেয়া হয়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময়ও বাধা আসে। কিন্তু আদালতে এ ক্ষেত্রেও সাহসী ভূমিকা রাখে। আমার কাছেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফোন দেয়া হয়। ’
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করায় বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। আমরা বঞ্চিত হয়েছি। কিন্তু আমাদের কোনো আফসোস ছিল না। কারণ তিনি জাতির জন্য এটা করেছেন। কারাগার থেকে মুচলেকা দিয়ে বের হওয়ার কথা বললে তিনি তা করেননি। কারণ তিনি জানতেন তিনি যৌক্তি দাবিতে আন্দোলন করছেন। তিনি নিজের কথা কখনো ভাবেননি। মানুষের কথা, জনগণের কথা ভেবেছেন। তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার দিকে মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি আমলে নারীরা জুড়িশিয়ারিতে অংশ নিতে পারতো না। বঙ্গবন্ধু সেই আইন বাতিল করে দেন। তিনি চেয়েছিলেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটা শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে। কিন্তু তা করে যাওয়ার আগেই তাকে হত্যা করা হলো। তিনি বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দাঁড়াতে পারতো বাংলাদেশ। ’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘মানুষের আইন পাওয়ার অধিকার ছিল না। ৯৬ সালে আওয়ামী সরকার গঠনের সুযোগ পায়। তখন সেই ধারা পাল্টে দেয়া হয়। আমরা বললাম, মানুষের আইন পাওয়া অধিকার নিশ্চিত করবো। আইনের শাসন নিশ্চিত করবো। ’
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা