• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২৪

আদালতের সাহসী ভূমিকায় দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২       
  • ৫৮
  •       
  • ২৭-১২-২০২২, ০১:১৪:৪৬

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আদালতের সাহসী ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আমরা ইনডেমনিটি বাতিল করে বিচার কাজ শুরু করি। যে দিন বিচারের রায়, সে দিন বিএনপি-জামায়াত হরতাল ডেকেছিল। কিন্তু বিচারক কোনো কিছু মানেননি। সাহসের সঙ্গে রায় দিয়েছিলেন। ’ ২৬ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুড়িশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার ফের শুরু করি তখনও বাধা দেয়া হয়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময়ও বাধা আসে। কিন্তু আদালতে এ ক্ষেত্রেও সাহসী ভূমিকা রাখে। আমার কাছেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফোন দেয়া হয়। ’

বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করায় বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। আমরা বঞ্চিত হয়েছি। কিন্তু আমাদের কোনো আফসোস ছিল না। কারণ তিনি জাতির জন্য এটা করেছেন। কারাগার থেকে মুচলেকা দিয়ে বের হওয়ার কথা বললে তিনি তা করেননি। কারণ তিনি জানতেন তিনি যৌক্তি দাবিতে আন্দোলন করছেন। তিনি নিজের কথা কখনো ভাবেননি। মানুষের কথা, জনগণের কথা ভেবেছেন। তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার দিকে মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানি আমলে নারীরা জুড়িশিয়ারিতে অংশ নিতে পারতো না।  বঙ্গবন্ধু সেই আইন বাতিল করে দেন। তিনি চেয়েছিলেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটা শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে। কিন্তু তা করে যাওয়ার আগেই তাকে হত্যা করা হলো। তিনি বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দাঁড়াতে পারতো বাংলাদেশ। ’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘মানুষের আইন পাওয়ার অধিকার ছিল না। ৯৬ সালে আওয়ামী সরকার গঠনের সুযোগ পায়। তখন সেই ধারা পাল্টে দেয়া হয়। আমরা বললাম, মানুষের আইন পাওয়া অধিকার নিশ্চিত করবো। আইনের শাসন নিশ্চিত করবো। ’
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।