• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:১২

যেভাবে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করবেন

  • সারাদেশ       
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২       
  • ৫৪
  •       
  • ২৯-১২-২০২২, ০০:৩১:৩৫

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : মেট্রোরেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর মাধ্যমেই মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। দেশের প্রথম মেট্রোরেলের জন্য উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত থাকছে মোট ১৭টি স্টেশন, প্রথম দফায় ২৮ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। এর সবগুলো স্টেশনই তিনতলা। স্টেশনের তৃতীয়তলায় প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর আগেই কয়েকটি ধাপ আসবে যাত্রীর সামনে। প্রথমে সড়ক থেকে সিঁড়ি বা চলন্ত সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটরে করে আপনাকে যেতে হবে দোতলায়; সেটি কনকোর্স এলাকা। কনকোর্সের কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে। মেট্রো রেলের দুই ধরনের টিকেট আছে। দীর্ঘমেয়াদী টিকেট হিসেবে এমআরটি পাস নিতে পারেন। অথবা কিনতে পারেন একবারের যাত্রার টিকেট। দুটোই পাওয়া যাবে কাউন্টারে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় ‘টিকেট বিক্রয় মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা যাবে একবারের যাত্রার টিকেট।

টিকেট কাটার পর ট্রেন ধরতে ঢুকতে হবে পেইড জোনে। সেজন্য অটোমেটেড প্রবেশ পথে নির্ধারিত জায়গায় টিকেট ছোঁয়ালে খুলে যাবে দরজা। এর পরের এলাকাই পেইড জোন। এবার নির্দেশিত পথে কিছুটা হেঁটে সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটর ব্যবহার করে যেতে হবে তৃতীয় তলায়, সেখানেই প্ল্যাটফর্ম। তৃতীয় তলায় ওঠার জন্য বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা লিফটও ব্যবহার করতে পারেন। প্ল্যাটফর্ম আর ট্রেনের মাঝামাঝিতে থাকবে ‘প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি)’। নিরাপত্তার জন্য পিএসডি’র ধারে না দাঁড়িয়ে আপনাকে থাকতে হবে হলুদ দাগের বাইরে। সেখানেই অপেক্ষা করতে হবে ট্রেনের জন্য।

আপনি যে স্টেশনে অপেক্ষা করছেন, সে গন্তব্যে আসা যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর আপনাকে উঠতে হবে ট্রেনে। চড়ার পর ট্রেনে আসন ফাঁকা থাকলে সেখানে বসতে পারবেন আপনি। তবে বসার ক্ষেত্রে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলছে মেট্রোরেলের পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।ট্রেনে চড়ার পর ডিসপ্লে ও রুট ম্যাপে খেয়াল রাখুন- আপনি কোথায় অবস্থান করছেন এবং আপনার গন্তব্য আর কতদূর, সব দেখানো হবে ডিসপ্লেতে। মাইকেও নিয়মিত ঘোষণা হতে থাকবে কোন স্টেশনে এল, সামনে কোন স্টেশন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা তা শুনে নামার প্রস্তুতি নিতে পারবেন।গন্তব্যে পৌঁছে প্ল্যাটফর্মে নেমে আগের মতো সিঁড়ি, এস্কেলেটর কিংবা লিফট ধরে আপনাকে নেমে আসতে হবে দোতলায় অর্থাৎ কনকোর্স লেভেলে।

স্টেশন থেকে বের হওয়ার জন্য দোতলায় আবারও পাবেন অটোমেটেড দরজা। আপনি যদি এমআরটি পাসধারী হন, নির্ধারিত জায়গায় টিকেট ছোঁয়ালেই খুলে যাবে দরজা। আর একক যাত্রার টিকেটধারীকে নির্ধারিত জায়গায় টিকেটটি ফেলতে হবে। অটোমেটেড দরজা খুলে গেলেই আপনি বেরিয়ে গেলেন পেইড জোন থেকে। যে গন্তব্য পর্যন্ত একক যাত্রার টিকেট আপনি কেটেছেন, আপনাকে সেই গন্তব্যেই নামতে হবে। আপনি যদি অতিরিক্ত পথ ভ্রমণ করে ফেলেন, তাহলে আপনি স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে ‘বাড়তি ভাড়া আদায়’ কক্ষে গিয়ে অতিরিক্ত ভ্রমণ করা দূরত্বের ভাড়া পরিশোধ করার পরই কেবল বের হওয়ার সুযোগ পাবেন আপনি।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।