- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : স্বপ্ন এখন হাতের মুঠোয়। মেট্রোযাত্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ২৮ ডিসেম্বর বুধবার প্রথম যাত্রী হয়ে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নগরবাসীর দুর্ভোগহীন যাতায়াতের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করবেন তিনি। অমিত সম্ভাবনা আর দেশের গণপরিবহন সেক্টরের মহাকাব্য মেট্রোরেল সম্পর্কে আরও কিছু জানা যাক ছবির চমকে।রেল স্টেশনে পৌঁছানো বা উঠানামা করার জন্য আধুনিক বিশ্বের মতো প্রচলিত সিঁড়ির পাশাপাশি চলন্ত সিঁড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এতে অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।
স্টেশনের ভেতরেই রয়েছে ডিজিটাল টিকিট কাউন্টার। কোনো ঝামেলা ছাড়া খুবই অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রার আগে টিকিট কাটা যাবে এ কাউন্টার থেকে। এছাড়া কেউ চাইলে যে কোনো দিনের অগ্রিম টিকিটও কাটতে পারবেন। ট্রেনে উঠার জন্য প্লাটফর্মে প্রবেশের জন্য পার হতে হবে এ ডিজিটাল টিকিট চেকার গেট। কাটা টিকিট হাতে নিয়ে এ গেটের নির্দিষ্ট স্থানে স্পর্শ করলেই যাত্রীর প্রবেশের জন্য অটোমেটিক গেট খুলে যাবে। তবে কেউ যদি এক স্টেশনের টিকিট কেটে নির্দিষ্ট স্টেশনে না নেমে অন্য স্টেশনে নামতে চান, তবে সেক্ষেত্রে এখানে অতিরিক্ত ভ্রমণমূল্য পরিশোধের পরই গেট খুলবে।
স্টেশনের ভেতরে যাত্রীদের জন্য রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। খাবার, পানীয়, নিত্যপণ্য এমনকি মার্কেটও বসবে স্টেশনের ভেতরে। প্লাটফর্মে থাকা যাত্রীরা যেন নিরাপদে থাকেন সেজন্য নির্দিষ্ট স্থানে রয়েছে উঁচু বেষ্টনি। ফলে ট্রেন না থামা পর্যন্ত বেষ্টনি পেরিয়ে কেউ ট্রেনের কাছে বা লাইনের ওপর যেতে পারবেন না।স্টেশনগুলোর বাইরের অংশে আমাদের জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজ রঙে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এটি স্টেশনের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পাখির চোখে স্বপ্নের মেট্রোরেলের চলাচল। শহরের বুক চিরে সোজা রেলপথটি যেন নগরীর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ট্রায়াল রান শেষে বর্তমানে মেট্রোরেলের সার্ভিস ট্রায়াল চলছে। উদ্বোধনের পর আগামী তিন মাসের মধ্যে পুরোপুরি মেট্রোরেলের অপারেশন শুরু করা যাবে। তার আগ পর্যন্ত বিশেষ কিছু সময়ে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল।মেট্রোরেলের মাধ্যমে কেবল উড়াল পথই নয়, নিচের সড়কও ফিরছে নতুন রূপে। বিশেষ করে লাইনের সমান্তরাল উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত যোগাযোগের যে নতুন পথ তৈরি হয়েছে, তা নগরবাসীর জন্য বাড়তি পাওনা। এরই মধ্যে এ সড়কের সুফল পেতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা