• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২৩

আরও ৫টি মেট্রোরেল হবে ঢাকায়

  • জাতীয়       
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২       
  • ৩৩
  •       
  • ২৯-১২-২০২২, ০০:৫৬:৩৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : দেশের প্রথম মেট্রোরেল পথের একাংশ খুলছে আজ বুধবার। মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আধুনিক মেট্রোরেল ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। এদিন মেট্রোরেল পথের একাংশ খুললেও ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আরও পাঁচটি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে দুটির কাজ শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। একটির সম্ভাব্যতা নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। আর বাকি দুটো কী পর্যন্ত নির্মাণ পর্যায়ে আসবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে এ হিসাবে পরিকল্পনা থাকলেও ২০৩০ সালের মধ্যে সব কয়টি মেট্রোরেল চালুর সম্ভাবনা কম। ২০১২ সালে দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন (এমআরটি-৬) প্রকল্প অনুমোদন পায় সরকারের। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করা হয়।

মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুনে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও অংশ এবং ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৬ চালু হওয়ার কথা ছিল। সেখানে ‘আর্লি কমিশনিং’-এর মাধ্যমে আগারগাঁও পর্যন্ত ২০২০ সালের মধ্যে এবং মতিঝিল পর্যন্ত ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার চেষ্টা ছিল সরকারের। কিন্তু হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার কারণে মেট্রোরেল নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সাত জাপানি নাগরিকের মৃত্যু হয়। আবার করোনায় কাজের গতি কমে যাওয়ায় সরকারের সেই আর্লি কমিশনিং লক্ষ্য অপূরণ থেকে যায়। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।

এর আগে ২০০৫ সালে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে প্রণীত হয় কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি)। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর যানজট নিরসনে তিনটি মেট্রোরেল এবং তিনটি বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ২০২৪ সালের মধ্যে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। তবে মানা হয়নি তা। প্রাইভেটকারকে উৎসাহিত করা ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। এতে যানজট আরও বেড়ে যায়।এসটিপি সংশোধন করে ২০১৫ সালে আরএসটিপি প্রণীত হয়। এই পরিকল্পনায় রাজধানীতে ৬টি মেট্রোরেল লাইন ও দুটি বিআরটি ২০৩৫ সালের মধ্যে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সরকার সময়বদ্ধ পরিকল্পনায় এই প্রকল্পগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মাণ করতে চায়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৬টি রুটে প্রতিদিন ৫০ লাখ যাত্রী হবে।

বিমানবন্দর স্টেশন থেকে কমলাপুর এবং নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-১ লাইনের ডিপোর পূর্তকাজে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি সই হয় গত মাসে। এর মাধ্যমে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এমআরটি-১-এর বিমানবন্দর-কমলাপুর স্টেশন অংশের ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার মাটির নিচে নির্মিত হবে। এটি হবে দেশের প্রথম পাতাল রেল। এই পথে ১২টি স্টেশন থাকবে। সবগুলো স্টেশনই হবে মাটির নিচে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।