- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : দেশের প্রথম মেট্রোরেল পথের একাংশ খুলছে আজ বুধবার। মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আধুনিক মেট্রোরেল ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। এদিন মেট্রোরেল পথের একাংশ খুললেও ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আরও পাঁচটি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে দুটির কাজ শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। একটির সম্ভাব্যতা নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। আর বাকি দুটো কী পর্যন্ত নির্মাণ পর্যায়ে আসবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে এ হিসাবে পরিকল্পনা থাকলেও ২০৩০ সালের মধ্যে সব কয়টি মেট্রোরেল চালুর সম্ভাবনা কম। ২০১২ সালে দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন (এমআরটি-৬) প্রকল্প অনুমোদন পায় সরকারের। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করা হয়।
মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুনে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও অংশ এবং ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৬ চালু হওয়ার কথা ছিল। সেখানে ‘আর্লি কমিশনিং’-এর মাধ্যমে আগারগাঁও পর্যন্ত ২০২০ সালের মধ্যে এবং মতিঝিল পর্যন্ত ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার চেষ্টা ছিল সরকারের। কিন্তু হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার কারণে মেট্রোরেল নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সাত জাপানি নাগরিকের মৃত্যু হয়। আবার করোনায় কাজের গতি কমে যাওয়ায় সরকারের সেই আর্লি কমিশনিং লক্ষ্য অপূরণ থেকে যায়। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
এর আগে ২০০৫ সালে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে প্রণীত হয় কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি)। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর যানজট নিরসনে তিনটি মেট্রোরেল এবং তিনটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ২০২৪ সালের মধ্যে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। তবে মানা হয়নি তা। প্রাইভেটকারকে উৎসাহিত করা ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। এতে যানজট আরও বেড়ে যায়।এসটিপি সংশোধন করে ২০১৫ সালে আরএসটিপি প্রণীত হয়। এই পরিকল্পনায় রাজধানীতে ৬টি মেট্রোরেল লাইন ও দুটি বিআরটি ২০৩৫ সালের মধ্যে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সরকার সময়বদ্ধ পরিকল্পনায় এই প্রকল্পগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মাণ করতে চায়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৬টি রুটে প্রতিদিন ৫০ লাখ যাত্রী হবে।
বিমানবন্দর স্টেশন থেকে কমলাপুর এবং নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-১ লাইনের ডিপোর পূর্তকাজে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি সই হয় গত মাসে। এর মাধ্যমে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এমআরটি-১-এর বিমানবন্দর-কমলাপুর স্টেশন অংশের ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার মাটির নিচে নির্মিত হবে। এটি হবে দেশের প্রথম পাতাল রেল। এই পথে ১২টি স্টেশন থাকবে। সবগুলো স্টেশনই হবে মাটির নিচে।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা