• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:২২

দেড় লাখ টাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রি করলেন আ.লীগ নেতা

  • জাতীয়       
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২       
  • ৪৩
  •       
  • ৩০-১২-২০২২, ০৯:১০:২৬

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর এক লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের সাতপাকিয়া পুকুরপাড় এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত সেলিম রেজা খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খোকসা উপজেলার ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘরের বরাদ্দ পান হারুন অর রশিদ (৭৫)। তবে আইন লঙ্ঘন করে সেই ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে মন্টু ব্যাপারীর কাছে। স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি কিনে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন মন্টু ব্যাপারী। আর হারুন অর রশিদ থাকেন ওই ঘরের বারান্দায়। সেলিম রেজা দেড় লাখ টাকায় ঘরটি বিক্রি করেছেন মন্টু ব্যাপারীর কাছে। মন্টু ব্যাপারী ও হারুন অর রশিদ উপজেলার সাতপাকিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
 
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সাতপাকিয়া গ্রামে ১৩টি ঘর নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে একটি ঘরের বরাদ্দ পান হারুন অর রশিদ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ঘরের চাবি দেওয়া হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। হারুন অর রশিদ বারান্দার এক কোনায় কাপড় ও টিন দিয়ে ঘেরা মেঝেতে বসে আছেন। ভয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তবে হারুন অর রশিদের মেয়ে খাদিজা খাতুন বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে আমার বাবার বরাদ্দকৃত ঘরে মন্টু ব্যাপারী থাকেন। আমার বাবার ঘর বাবাকে দেওয়া হোক। ঘরের বারান্দায় খুব কষ্ট করে বাবা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘরটি বুঝে পেলেই আমরা খুশি।
 
এ বিষয়ে মন্টু ব্যাপারীর স্ত্রী মুসলিমা খাতুন বলেন, খোকসার ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজার মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গত ২৪ এপ্রিল ঘরটি কিনেছি। আমার কাছে ৩০০ টাকার লিখিত স্ট্যাম্প রয়েছে। হারুন অর রশিদ বৃদ্ধ মানুষ। তাই ঘরের বারান্দায় থাকার জায়গা দিয়েছি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাছুম মোর্শেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রি করা মানে প্রধানমন্ত্রীকে বিক্রি করা। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দলের সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হবে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এ বিষয়ে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে খোকসা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত তদন্ত করে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রতিবেদন দেবেন। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, যার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র সেই ব্যক্তিই ওই ঘরে বসবাস করতে পারবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর কোনোভাবেই বিক্রি বা হস্তান্তরের সুযোগ নেই। সরকারি আশ্রয়ণের ঘর বিক্রি করা আইনত অপরাধ।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।