• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৩

কুয়াকাটার বুকে এক টুকরো সেন্টমার্টিন ‘চরবিজয়’

  • জাতীয়       
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২       
  • ৪২
  •       
  • ৩০-১২-২০২২, ০৯:১৭:৪৬

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পটুয়াখালীর দক্ষিণ উপকূলে গত কয়েক দশকে জেগে উঠেছে বেশ কিছু চর। এসব চরের সৌন্দর্যও অপরূপ। এরমধ্যে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা বিশাল সম্ভাবনাময় ‘চরবিজয়’। প্রায় ১০ হাজার একর আয়তন নিয়ে জেগে ওঠা এ চরটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। যা ইতোমধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চরটির সন্ধান পাওয়ায় এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। লাল কাঁকড়ার অবাধ ছুটোছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলি। দিগন্ত জোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জল রাশি আছড়ে পড়ছে কিনারায়। এছাড়া সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে। মানুষহীন এ চরে মানুষের উপস্থিত টের পেলেই লাল কাঁকড়ার দল ছুটে পালিয়ে যায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। গর্তে লুকিয়ে থেকেও উঁকি দিয়ে পর্যটকদের গতিবিধি লক্ষ্য করে কাঁকড়াগুলো, যা বিমোহিত করে পর্যটকদের। 
 
‘চরবিজয়’ দেখতে আসা মাহমুদা নামে এক পর্যটক জানান, চরটি পাখি ও লাল কাকঁড়ার দখলে থাকা একটি দ্বীপ, যে কোনো মানুষকে মুগ্ধ করবে। কুয়াকাটায় এসে যদি এ চরে না যাওয়া হয়, তবে অপূর্ণতা থেকেই যাবে। এ যেন কুয়াকাটার বুকে এক টুকরো সেন্টমার্টিন। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম)-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার সাথে কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয়সহ মোট ১২ জন মিলে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে খুঁজতে খুঁজতে সন্ধান পাই এ চরের। তখনই নামকরণ করা হয় এ চরের। স্থানীয়, পর্যটন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করলে তারাও সম্মতি জানায়। এরপর থেকেই কুয়াকাটায় আগত পর্যটক, স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষ ‘চরবিজয়’-এ যান। তবে সরকার যদি এ দ্বীপকে ঘিরে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নেয়, তবে এটি কুয়াকাটার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।
 
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘চরবিজয়’ বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে। যদিও চরটি এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী হয়নি, তবে ওখানে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে স্পীডবোট চালু রয়েছে। এছাড়াও ট্রলারের মাধ্যমে পর্যটকরা এ চরটি দেখতে যাচ্ছেন। এটাকে আরো উন্নত করার জন্য আমরা কাজ করছি যাতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।