• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:৩০

রঙিন মাছ চাষ করে আয়ের উৎস খুজে পেয়েছে চাঁদপুরের তারেক

  • সারাদেশ       
  • ০১ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৬৩
  •       
  • ০১-০১-২০২৩, ২৩:১৫:১০

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : রঙিন মাছ চাষ করে আয়ের উৎস খুজে পেয়েছে চাঁদপুরের তারেক। জানা গেছে, বিভিন্ন প্রজাতির বাহারি রঙের বিদেশি রঙিন মাছের চাষাবাদে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করছেন চাঁদপুরের তারেক হোসেন। শখের বশে শুরু করলেও মাত্র তিন বছরেই তরুণ এ উদ্যোক্তা পেয়েছেন ব্যাপক সাফল্য। শুরুতে বাড়ির আঙিনায় ও একটি পরিত্যক্ত জমিতে মাত্র ১ লাখ টাকা খরচ করেন। ছোট্ট পরিসরে প্রজেক্ট শুরু করলেও বর্তমানে তিনটি বড় পুকুর ও বাড়ির পাশের পতিত জমিতে ৩০টি চৌবাচ্চাসহ প্রায় দেড় একর জমিতে করছেন এ চাষাবাদ। উদ্যোক্তার দাবি, সৌখিন এ মাছ চাষ ব্যাপক লাভজনক।

চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন। পেশায় একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার। ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। কাজের ফাঁকে ইউটিউব দেখে রঙিন মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। ২০১৯ সালের শুরুতে ৪টি চৌবাচ্চা দিয়ে রঙিন মাছ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে খামারে গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটি, প্লাটিসহ ১১ প্রজাতির মা মাছ আছে। এক লাখ টাকা দিয়ে বাড়ির আঙিনায় ও একটি পরিত্যক্ত জমিতে ছোট্ট পরিসরে চাষাবাদ শুরু করলেও বর্তমানে তার খামার আছে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির অ্যাকুরিয়াম পিস।

তরুণ এ উদ্যোক্তা জানান, একটি মাছের রেণু থেকে বছরে প্রায় তিন হাজার পোনা মাছ উৎপাদন সম্ভব। নিজের খামারে উৎপাদিত এসব পোনা বিক্রি করে তিনি বছরে প্রায় আয় করছেন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। তবে সরকারি খাস জমি লিজ পেলে তার খামার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানান এ উদ্যোক্তা। শুরু থেকেই পেয়েছেন পরিবারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা। চাকরির সুবাদে নিজে বাড়ির বাইরে থাকায় বাবা ও ছোট দুই ভাই লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত দেখাশোনা করছেন এসব মাছের। বাইরে অলস সময় না কাটিয়ে নিজেদের প্রজেক্টে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন তারাও। নিজের ছোট্ট ব্যবসা ছেড়ে বাবাও যোগ দিয়েছেন তাদের সহযোগিতায়। নিয়মিত করছেন খামারে দেখাশোনা।

উদ্যোক্তা তারেকের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমার ছোটখাটো একটি দোকান ছিল। দোকানের আয় দিয়ে সংসার পরিচালনা করতাম। ২০১৯ সালে তারেক বিষয়টি জানালে সম্মতি দিই। ছেলে চাকরির পাশাপাশি অন্য কিছু করতে চায়, এতে কোনো আপত্তি করিনি। পরে একসময় দেখলাম, তার উদ্যোগটি লাভজনক। তাই নিজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে এখানেই সময় দিতে শুরু করেছি। এখন ছেলে ঢাকায় থাকলেও আমি আর দুই ছেলে নিয়মিত দেখাশোনা করি। এখান থেকে ভালো লাভবান হচ্ছি।’

উদ্যোক্তা তারেক হোসেনের ছোট ভাই মো. হোসেন ও রাকিব হোসেন জানান, ভাই যখন এ প্রজেক্ট চালু করে, প্রথম থেকেই তারা এখানে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন। বাইরে আড্ডা দিয়ে সময় কাটানোর চেয়ে এখানে মাছের সঙ্গে খেলা করে সময় কাটাতেই ভালো লাগে তাদের। অনেক সময় খাওয়া-দাওয়ার কথাও মনে থাকে না। কীভাবে যে মাছের সঙ্গে খেলা করতে করতে সময় কেটে যায়, তারা নিজেরাও জানেন না। তাই ভাইয়ের এমন উদ্যোগে তারা গর্বিত।

স্থানীয় বাসিন্দা জনি ও আব্দুল গনি জানান, রঙিন এসব মাছ দেখতে মাঝে মাঝেই আসেন তারা। আশেপাশের তরুণ যুবক ও মধ্যবয়সীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও আসেন এখানে। তবে শিক্ষার্থী হওয়ায় এখনই চাষাবাদ শুরু করতে পারছেন না জনি। তবে ভবিষ্যতে তার রঙিন মাছ চাষের পরিকল্পনা আছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বাসাবাড়িতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে শৌখিন মানুষ এসব মাছ পালন করেন। এসব মাছের দাম একটু বেশি। তা ছাড়া এ মাছের চাষাবাদে প্রয়োজন নেই অতিরিক্ত সময়ের। নির্ধারিত সময়ে খাবার ও একটু যত্ন নিলেই ব্যাপক লাভবান হতে পারেন উদ্যোক্তারা। তাই রঙিন মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।