• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:২৪

বাণিজ্য মেলা জমেনি চলছে সাজসজ্জার কাজ

  • জাতীয়       
  • ০২ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪৫
  •       
  • A PHP Error was encountered

    Severity: Warning

    Message: mysqli::re

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন হয়েছে রোববার। এটি ঢাকার ২৭তম আয়োজন। মাসব্যাপী এই আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে এসে মেলা প্রাঙ্গণে এখনো বিভিন্ন স্টলের নির্মাণ কাজ চলছে। অল্প সংখ্যক দর্শনার্থী মেলা প্রাঙ্গণে এলেও এখনো জমে উঠেনি এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেলা পুরোদমে জমে উঠতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। সোমবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে এসে দেখা গেছে, বিকেলের পর থেকে স্বল্প সংখ্যক দর্শনার্থী এলেও মেলা প্রাঙ্গণ এখনো জমে ওঠেনি। বেশিরভাগ স্টলগুলোর ডেকোরেশন কাজ হয়ে গেলেও এখনো কিছু কিছু স্টল, প্যাভিলিয়নের নির্মাণ বা ডেকোরেশনের কাজ চলমান রয়েছে। সাজসজ্জার কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি যেই স্টল বা প্যাভিলিয়নগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলোতে অল্প সংখ্যক ক্রেতা সাধারণ ঘুরে ঘুরে দেখছেন, দর-দাম সম্পর্কে জানছেন।
 
অন্যদিকে, মেলা প্রাঙ্গণের বাহিরে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রবেশ টিকিট কাউন্টারগুলোর বেশিরভাগই ফাঁকা। মেলায় প্রবেশের ফটকগুলোতে দায়িত্বরতরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তবে, মেলা প্রাঙ্গণের ভেতরে নির্দিষ্ট শিশু কর্নারে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। উন্মুক্ত স্থানে এই শিশু কর্নারে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড রাখা আছে যা ব্যবহার করতেই মূলত সেখানে শিশুসহ অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে। বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে কিচেন সামগ্রীর একটি নির্মাণাধীন স্টলের দায়িত্বরত শিহাবুল ইসলাম বলেন, আজকের মধ্যেই আমাদের স্টল নির্মাণ, ডেকোরেশনের কাজ হয়ে যাবে। অনেক স্টলই এখনো পরিপূর্ণভাবে তাদের সাজসজ্জার কাজ শেষ করতে পারেনি। এছাড়া দর্শনার্থীরাও সেভাবে আসতে শুরু করেনি। আশা করা যাচ্ছে আর দুই চার দিনের মধ্যে পুরোদমে দর্শনার্থীরা আসবেন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান অ্যালুমিনিয়াম নামক একটি স্টলের দায়িত্ব পালনকারী কাস্টমার ম্যানেজার কল্যাণ কুমার দাস বলেন, মেলা এখনো জমেনি তবে, কিছু ক্রেতা, দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিক্রি এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। প্রতিটি স্টলেই একই অবস্থা। আমরা নিজেরাও এখনো সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারিনি। প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এমনিতেও ক্রেতা দর্শনার্থী একটু কম আসে। ৪/৫ দিন পর থেকে হয়তবা দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
 
রাজধানীর মালিবাগ থেকে পরিবারের সদস্য সহ আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে এসেছেন আব্দুল মতিন। তিনি বলেন, বাচ্চাদের বায়নার কারণে আজ মেলায় এসেছি। ঢাকা থেকে দূরে এই মেলায় আসা একটু কষ্টেরই। প্রথমে বাসে অপেক্ষা করতে হলো যাত্রী পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য। এরপর মেলায় এসে দেখছি এখনো সেভাবে অনেকগুলো স্টল, প্যাভিলিয়ন ডেকোরেশনের কাজ চলছেই। পূর্ণ মাত্রায় এখনো মেলা শুরু হয়নি, মানুষের উপস্থিতি অনেক কম। তবে কিছুদিন গেলে হয়তবা মেলা জমে উঠবে। রোববার (১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি ঢাকার ২৭তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়। আগে বাণিজ্য মেলা শেরে বাংলা নগরের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। ২০২২ সাল থেকে মেলার জন্য জায়গা নির্ধারিত হয়েছে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে ক্রয় করলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। এছাড়াও মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।