• মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
    ২৭ কার্তিক ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪২

সন্তান মাংস কিনতে বলেছে কিন্তু ইস্টু কিনলেন সলেমান

  • জাতীয়       
  • ০৪ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪৮
  •       
  • ০৪-০১-২০২৩, ২০:৪৬:৪৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : তিন-চারদিন থেকে খুবে ঠান্ডা করেছে। সূর্যডার মুখখান দেখায় যায় না। দ্বিপ্রহরে এগনা (অল্প) আলো দেখাহানে আর দেখা মিলে না। বাতাস খান যে বহেচে, ওইখানই খুব ঠান্ডা লাগেচে। শরীরটা একেবারে হেম (ঠান্ডা) করে দেছে। এই তাহানে সইন্ধ্যার পর আর রিকশা চালাবা পারু না। বাড়িত ছোয়াটা গোশতের (মাংসের) কাথা কহেচে দুই-তিন দিন থেকে। দিনে রিকশা চালাহানে যা হয় তা দিয়া সংসার চলে। এলা ঠান্ডার দিন লোক বেশি বাহির হয় না। এই তাহানে ইনকাম খুবে কম। ভাড়া দিয়া ৩০০ টাকার মতো থাকে। গোশত কিনিবা আসে দেখচু ৭০০ টাকা কেজি। এত টাকা তো আর ইনকাম (আয়) হইলনি। আর পাশত এই ইস্টুলা (গরুর চামড়ায় লেগে থাকা মাংস) বলে ২০০ টাকা কেজি। এই তাহানে এক কেজি এইলা কিনিনু। হাড় হাড্ডি বেশি হবে হোক, স্বাদ তো মিলিবে। আর ছোয়াডাক কহা যাবে যে গোস্ত কিনিছু। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনের পাশে বসা মাংসের বাজার থেকে ইস্টু কেনার পর ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলছিলেন রিকশাচালক সলেমান আলী। সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের ফকদনপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। প্রায় বিশ বছর ধরে রিকশা চালাচ্ছেন তিনি। বাড়িতে দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে তার। 
 
সলেমান আলী বলেন, জিনিসলার দাম খুবে বাড়ে গেইছে। কোনো জিনিসের দাম ঠিক নাই। খালি হামার রিকশা ভাড়া বাড়ে না। আগুতে দশ টাকা ছিল এলাও ওই দশ টাকায় আছে। পাঁচ টাকা বেশি চাহিলে আরও কত কাথা শুনিবা হয়। তারপরও মোর কোনো অভিযোগ নাই কারহো ওপর। অভিযোগ করিয়া কি করিবেন। এই রকম করে জীবনডা কাটিবে। ছুয়া দুইডাক কহেচু যেন পড়াশোনা করে চাকরি করে। না হয়লে বাপের মতো রোদ আর ঠান্ডাত কষ্ট করিবা হবে। ঠান্ডার দিনত খুবই কষ্ট হয়। লোকজন তো এগারোটা বারোটার আগত বাহির হয় না। কিন্তু মুই বাহির হইলেও লোক পাওনা। দেখা যাক কতদিনে কপালত সুখ আসে। এলা এভাবেই চালাবা হবে জীবনডা। গরুর মাংসের ইস্টু বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, এগুলো হলো গরুর চামড়ায় লেগে থাকা, মাথা ও পায়ের অংশ। যেগুলো গরুর মাংসের সঙ্গে রাখা হয় না। সেগুলো আমরা ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। যাতে করে সবাই কিনতে পারেন।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।