• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:৩০

কুমিল্লার ধনপুর থেকে শতকোটি টাকার জুতা রপ্তানী

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : জেলার লালমাই ফুটওয়্যার বছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি জুতা রপ্তানী করে। ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কিছু নামীদামি ব্র্যান্ডের জুতা তৈরি হচ্ছে কুমিল্লায়। কুমিল্লা শহরের অদূরে ধনপুরে লালমাইয়ের কারখানাটির অবস্থান। কুমিল্লার শহরতলির কারখানায় বিশ্বখ্যাত যেসব ব্র্যান্ডের জুতা তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রাঙ্কোসার্টো ও ন্যাচারালাইজার, জার্মানির লিডেল, ইতালির চিকো, স্পেনের ডাস্টিন টিজাস, ফ্রান্সের ডামার্ট ও অ্যারাম ইত্যাদি। এ ছাড়া জেসিপেনি, এবিসি মার্ট, ম্যাসিস, কোলসের মতো বিশ্বখ্যাত মেগাশপেও কুমিল্লার লালমাই ফুটওয়ারের জুতা পাওয়া যায়।লালমাই ফুটওয়্যার শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান। নারী-পুরুষের জুতা বানায় প্রতিষ্ঠানটি। এটির কারখানায় প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার জোড়া জুতা বানানোর সক্ষমতা রয়েছে। লালমাইয়ের কারখানায় মাত্র আট ঘণ্টায় পাঁচ হাজার জোড়া জুতা বানানোর সক্ষমতা রয়েছে লালমাই ফুটওয়্যারের। কুমিল্লার স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত লালমাই গ্রুপেরই প্রতিষ্ঠান লালমাই ফুটওয়্যার। প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানির ৯০ শতাংশের বেশি চামড়ার জুতা। আর বাকি ২০ শতাংশ জুতা পাটজাত পণ্য থেকে তৈরি হয়। কুমিল্লা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ধনপুর গ্রামে ১৯৯২ সালে প্রায় ৩০ বিঘা জমির ওপর সবুজের মধ্যে লালমাই ফুটওয়্যারের কারখানার যাত্রা শুরু হয়। ৩০ বিঘা জমির মাত্র ১০ বিঘায় আছে কয়েকটি কারখানা ভবন। বাকি জমি গাছপালায় ভরা। কারখানার অভ্যন্তরে রয়েছে বিশাল এক পুকুরও। গত তিন দশকের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জুতা রপ্তানীতে প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এটি। কয়েক বছর ধরে চামড়া খাতে দেশের শীর্ষ তিন করদাতা প্রতিষ্ঠানের একটি লালমাই ফুটওয়্যার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালমাই ফুটওয়্যারে বর্তমানে সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩২৫ জন কর্মী কাজ করছেন। তাঁদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নারী। সব কর্মীর দুপুরের খাবার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া নারী কর্মীদের জন্য রয়েছে শিশু দিবাযন্ত কেন্দ্র। আর একটি চিকিৎসা কেন্দ্র আছে, যেখানে সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক থাকেন। করোনার সময় লালমাই ফুটওয়্যার একজন কর্মীও ছাঁটাই করেনি। কারখানা দুই মাস বন্ধ থাকলেও কর্মীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, দেশে জুতা তৈরির শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের পর লালমাই ফুটওয়্যারের দৈনিক জুতা বানানোর সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। বাচ্চাদের জুতার জন্য বিখ্যাত ইতালির ব্র্যান্ড চিকোর জুতা বানানো হয় লালমাইয়ের কারখানায়। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি বাচ্চাদের জুতা ইউরোপের শোরুমে প্রতি জোড়া ৬৫ থেকে ১২০ ইউরোতে বিক্রি হয়। ফ্রান্সের ডামার্ট জনপ্রিয় নারীদের জুতার জন্য। তারা লালমাই থেকে নেওয়া প্রতি জোড়া জুতার ৮০ থেকে ১২০ ইউরোতে বিক্রি করে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রাঙ্কোসার্টো ব্র্যান্ডের বুট জুতার দাম ৭৫ ডলার থেকে ১৮০ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাচারালাইজার ব্র্যান্ডের জুতার দাম ১০০ ডলারের বেশি। আর জার্মানির লিডেলের জুতাও ৭০-৮০ ইউরোর কমে বিক্রি হয় না। এসব দামি জুতা এ দেশের শ্রমিকের হাতে তৈরি।প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা জুতার মানে কখনো ছাড় দিই না। প্রায় তিন দশক ধরে বিদেশি ক্রেতারাও আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। বিশ্বের খ্যাতনামা অনেক ব্র্যান্ডের জুতা আমরা তৈরি করি। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।