- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : স্বাধীনতা এসেছে, কিন্তু পূর্ণতা আসেনি। বিজয়ের আনন্দে উদ্বেল কোটি বাঙালির মনের কোণে তখনো আশঙ্কার কালো মেঘ। কারণ স্বাধীনতার স্থপতি কোথায় আছেন, কেমন আছেন- সে খবর তখনো অজানা। অবেশেষে সকল অনিশ্চয়তাকে পেছনে ফেলে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফেরেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। জাতির জনকের এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার বঙ্গবন্ধুকে তেজগাঁও বিমান বন্দর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে। ১০ মাস পর সেই একই বিমান বন্দরে যখন ফিরে আসেন তিনি, তখন পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার আলোয় রাঙা তাঁর নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশ।বিমানবন্দরে লক্ষ মানুষের অভিবাদন আর সারাদেশের কোটি বাঙালির হৃয়দ নিঙড়ানো আবেগ টের পান জাতির পিতা। আর্দ্র হয়ে ওঠে তার চোখের কোণ।
বিমানবন্দর থেকে নিজ পরিবারের কাছে নয়, বঙ্গবন্ধু ফিরে যান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে। তার জনতার কাছে। যাদের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আজীবনের সংগ্রাম। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে অন্ধকার থেকে আলোর পথে শুরু হয় বাংলাদেশের নব যাত্রা। এর আগে আট জানুয়ারি কারামুক্ত বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা প্রথমে লন্ডনে পাঠায়। বাংলাদেশকে তখনো স্বীকৃতি না দেয়া যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সব প্রটোকল ভেঙে ছুটে আসেন ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভনে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে বরণ করে নিতে। লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার পথে কিছুক্ষণের যাত্রাবিরতি ছিল নয়া দিল্লিতে। সেখানে তাঁকে দেয়া নজির বিহীন অভ্যর্থনায় উপস্থিত ছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা