দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ‘আমার স্ত্রী ফারজানা আজই প্রথম গুলশানের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করার জন্য যায়। খবর পেলাম সেখানে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলছে। পরে আমার স্ত্রীসহ আরও এক নারী ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। এরপর সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আমার স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।’ বুধবার (১১ জানুয়ারি) এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন গুলশানে স্পা সেন্টার থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হওয়া ফারজানার (১৯) স্বামী জাহিদ হাসান। জাহিদ হাসান বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকায়। আমরা খিলক্ষেত এলাকায় ভাড়া থাকি। আমি গাজীপুরে একটি মুদির দোকানে চাকরি করি। সেখানে কী এমন ঘটনা ঘটেছিল এখনো সেটি জানতে পারিনি। পার্লারের নাম কী সেটাও বলতে পারছি না। তিনি বলেন, আমি জেনেছি এটি নাকি স্পা সেন্টার, কিন্তু আমি জানি আমার স্ত্রী পার্লারে কাজ করার জন্য গিয়েছে। বিস্তারিত এখনো জানতে পারিনি, তাই থানায় যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা যতটুকু জানি—স্পা সেন্টারে সিটি কর্পোরেশনের অভিযান চলছিল। পরে আমরা খবর পেয়ে আহত দুই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরও একজনের চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তিনি আরও বলেন, আমরা আহত ওই নারীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। তিনি এখনো অজ্ঞান আছেন। এর আগে, দুপুরে গুলশানে স্পা সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে স্পা সেন্টারের ভবন থেকে লাফিয়ে নিচে পড়েন ফারজানা ও আরেক নারী।
দেশকন্ঠ/অআ