- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : মো. মোস্তফা ছিলেন রিকশাচালক। রাজধানীর দক্ষিণখানের এ বাসিন্দা গত ৭ ডিসেম্বর রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। পরে কোথাও তার সন্ধান মিলছিল না। একপর্যায়ে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডসহ ছিনতাই, গুম, হত্যায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ১৪ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, ডিবির উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিম মৌলভীবাজারের রাজনগর থেকে মোস্তফা হত্যা মামলার আসামি মো. খালেদ খান শুভকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে মোস্তফার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
অটোরিকশাচালক মোস্তফা গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর তার মা শামছুন্নাহার দক্ষিণখান থানায় জিডি করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর তিনি দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেপ্তার মো. খালেদ খান শুভর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান এলাকা থেকে মোস্তফা হত্যায় সরাসরি জড়িত মো. টিপু ও মো. হাসানুল ইসলাম ওরফে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে মো. টিপু ও মো. হাসানুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আব্দুল মজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহাঙ্গীর হোসেন ও আব্দুল মজিদের কাছ থেকে মোস্তফার অটোরিকশা জব্দ করা হয়। অন্য একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি সুইস গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর টিপু, হাসানুল ইসলাম ও শুভ যাত্রী সেজে আরেক অটোরিকশাচালককে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন পূর্বাচলের ২৫ নম্বর সেক্টরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ছুরি দিয়ে অটোরিকশার চালককে হত্যা করে তার লাশ রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ জানান, শুধু মোস্তফা নয়, একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত ওই চক্রটি। চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মৌলভীবাজারের রাজনগর থানা এলাকাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দক্ষিণখান এলাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।এদিকে, ছেলের হত্যাকারী গ্রেপ্তারের খবর শুনে মিন্টো রোডে ডিবির মিডিয়া সেন্টারে ছুটে আসেন মোস্তফার মা শামসুন্নাহার। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন। শামসুন্নাহার বলেন, ‘মোস্তফা নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিনের মাথায় ফোন আসে আমার মেয়েজামাইয়ের কাছে। আশিয়ান সিটি নামের একটি জায়গায় আমার ছেলের লাশ পড়ে আছে বলে জানানো হয়। আমার ছেলের বউসহ আমার তিন নাতি-নাতনি আছে। তারা ছোট ছোট। তাদেরকে নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো?’
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা