• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:৩১

নিষিদ্ধ হতে পারে অ্যাপল ওয়াচ

দেশকন্ঠ ডেস্ক : ফিচারে ঠাসা এই স্মার্ট হাতঘড়ি কীনা পারে! স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত জানানো থেকে শুরু করে ফোনে কথা বলা কিংবা প্রতিদিনের ওয়ার্ক আউট নজর রাখার মতো নানান কঠিন বিষয়ই সামলে দেয় দক্ষতার সঙ্গে। SOS ফিচারের মাধ্যমে ইতোমধ্য়েই বহু প্রাণ বাঁচিয়েছে এই স্মার্ট হাতঘড়ি। এবার এই ফিচারপ্যাকড স্মার্টওয়াচের বিরুদ্ধেই উঠল গুরুতর অভিযোগ। যে প্রযুক্তির দৌলতে এত স্মার্টনেস অ্যাপল এর, সেই প্রযুক্তি নাকি আদতে চুরি করা, এমনই অভিযোগ তুলে এবার আদালতের দ্বারস্থ হল মার্কিন এক মেডিক্যাল টেক সংস্থা। আজ থেকে নয়, অনেকদিন ধরেই অ্যাপল ওয়াচ এর বিরুদ্ধে পেটেন্ট চুরির অভিযোগ তুলে আসছে আমেরিকার মেডিক্যাল টেক সংস্থা Masimo।

ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মার্কিন আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছে তারা। আর সেই আদালতেই এবার বড় ধাক্কা খেল অ্যাপল। ওই মামলায় অ্যাপল কে দোষীসাব্যস্ত করেছে আদালত। পরবর্তী ধাপে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে United States International Trade Commission (USITC)। আমেরিকার এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। ফলে তাদের তদন্তের ফলাফল আদালতের সিদ্ধান্তের থেকে আলাদা হতেই পারে। তবে তাদের তদন্ত-রিপোর্টেও যদি দোষী সাব্যস্ত হয় অ্যাপল, তবে বড়সড় সমস্যায় পড়তে পারে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬ ও তার পরবর্তী মডেলগুলোকে।

আমেরিকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই Masimo-র তৈরি অক্সিজেন সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ওই টেক সংস্থার অভিযোগ, তাদের বেশ কিছু কর্মীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল অ্যাপল। সেসব কর্মীকে ফাঁসিয়ে তাদের কাছ থেকে ওই প্রযুক্তির তথ্য চুরি করেছে আই ফোন সংস্থাটি। এমনকি Masimo-র চিফ মেডিক্যাল অফিসারকে নিজের সংস্থায় নিয়োগ করেছিল অ্যাপল। সব মিলিয়ে অ্যাপল এর বিরুদ্ধে দশটি আলাদা আলাদা পেটেন্ট চুরির অভিযোগ এনেছে Masimo। সেই মামলাতেই অ্যাপল  কে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আদালত।

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (USITC)। আর সেই তদন্ত রিপোর্টের উপরেই আপাতত ঝুলছে অ্যাপল ওয়াচ এর ভাগ্য। তবে কবে নাগাদ সেই তদন্ত রিপোর্ট মিলবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও পাকাপোক্ত খবর মেলেনি। অ্যাপল ওয়াচ এর সিরিজ ৬ ও তার পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাপল ওয়াচ গুলো আদৌ আগের মতো বাজার কাঁপাবে কিনা, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাণিজ্য কমিশনই।
সূত্র: এই সময়
দেশকন্ঠ/এআর


 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।