• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:৩১

ফোনের বাজারে চীনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় ভারত

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ২০১৪ সালের দিকে ভারতে বিক্রি হওয়া ফোনের বেশিরভাগই ছিল আমদানিকৃত। তবে কয়েক বছর ধরে দেশটিতে বেশ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইসিইএ) মতে, ২০২২ সালে ভারতে বিক্রি হওয়া প্রায় সব ফোনই স্থানীয়ভাবে তৈরি। এসব ফোনের বেশিরভাগই ভারতে অবস্থানরত তাইওয়ানের ফক্সকন বা দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের মতো কোম্পানিগুলোর তৈরি। তবে ভারতে ফোন উৎপাদনকারী স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। মাইক্রোম্যাক্স ইনফরমেটিক্স সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। ২০০৮ সালে মোবাইল ফোনের বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। মাত্র দুই বছরের মধ্যে এটি ভারতের বৃহত্তর নির্মাতা কোম্পানির তালিকায় চলে আসে। পাশাপাশি তাদের ফোনগুলো দামেও সস্তা। মাইক্রোম্যাক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাজেশ আগারওয়াল বলেন, চীনা স্মার্টফোন নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা বেশ কঠিন। তার প্রতিষ্ঠান যদি নতুন কোনও ফোন নিয়ে আসে, ভারতে সেটি ১০ লাখ বিক্রি হবে বলে আশা করেন তিনি। কিন্তু চীনা কোনও ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তা এক কোটি বা তার বেশিও বিক্রি করতে পারে। যা চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য বড় সুবিধা। তবে এটি ভারতের জন্য কেবল শুরু জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যাটারি, ক্যাবল ছাড়াও স্ক্রিন ও কম্পিউটার চিপের মতো পার্টসগুলো নিজেদের তৈরী করতে হবে। ভারত সরকারও এই পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে চায়। এটি সরকারের নীতিমালাগুলোর একটি, যার লক্ষ্য ভারতের সব ধরনের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো।
 
২০২১ সালে টেলিকম ও নেটওয়ার্কিং সরঞ্জামের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ (পিএলআই) স্কিম চালু করেছে ভারতের সরকার। পিএলআই স্কিমটি ভারতে তৈরি মোবাইল ফোনের উপকরণে ভর্তুকি দেয়। এতে প্রতিযোগিতা এবং উৎপাদন— উভয় বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইসিইএ) তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতীয় ফোনের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হয়। পিএলআই স্কিমের লক্ষ্য হল এটিকে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা। ভারতীয় ফোন নির্মাতা লাভা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান হরি ওম রাই ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন, মোবাইল ফোন নির্মাতাদের জন্য ভারত পরবর্তী গ্লোবাল হাব হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সংস্থাগুলো চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। হরি ওম রাই বলেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ ভারতে বাস করে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটি বিশ্বের বৃহত্তম বাজারগুলোর একটি হয়ে উঠবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।