• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:২৪

২ ঘণ্টা খোলা থাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এসে ফিরে যেতে হয় রোগীদের

  • জাতীয়       
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৩৩
  •       
  • ১৮-০১-২০২৩, ০৯:৪৭:৩৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : প্রতিদিন মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য খোলা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সারাদিন এই নির্দিষ্ট ২ ঘণ্টার আগে বা পরে রোগী আসলেও তাকে চিকিৎসা সেবা না নিয়েই ফিরে যেতে হবে। সকাল ১০টায় থেকে ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মর্জি ও সুবিধায় চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এতে ব্যাহত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা। শ্যামপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গেটে ঝুলছে তালা। নেই রোগী, নেই চিকিৎসক। সকাল সাড়ে ৯টার কিছুক্ষণ পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অফিস সহায়ক ফিয়ারুল আলী এসে তালা খুলে দেন। তবে তখনও খোঁজ নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের। বেলা সাড়ে ১০টার কিছুক্ষণ পরে অফিসে আসেন ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নাজমুল হাসান নাহিদ। এতো দেরিতে কেন অফিসে আসলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই প্রশ্নের জবাব আপনাকে দিতে বাধ্য নই।
 
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশের চিমঠ্যাপাড়া গ্রামের আক্তার বেগম বলেন, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র কখন খুলে কখন বন্ধ থাকে কেউ জানে না। কর্মকর্তাদের ইচ্ছে মতো খোলে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এখন সাড়ে ১০টা বাজে তবুও চিকিৎসক আসেনি। আর বেশিরভাগ দিন সকাল ১০টায় খুলে ১২টায় বন্ধ করে চলে যান তারা। এই হাসপাতাল থেকে আমাদের কোনো উপকার হচ্ছে না। শ্যামপুর ইউনিয়নের ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য শাহনাজ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সামনে আমি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অবস্থান করছি। এখন ১০টা পার হলেও চিকিৎসকের কোনো খোঁজ নেই। এখানকার কর্মকর্তারা নিজ ইচ্ছেমতো অফিস করে। যে রোগীগুলো আসে সবাই জানে, এখানে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। আর চিকিৎসক পাওয়া গেলেও ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে। তাই কেউ চিকিৎসা নিতেও আসে না। আপনি তো দেখেছেন সকাল ১০টা পার হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী আসলো না। কর্মচারীরা সকাল ১০টায় এসে দুপুর ১টার দিকে বন্ধ করে চলে যায়। 
 
স্থানীয় কলেজছাত্র সুবাস চৌধুরী বলেন, মাসে ১০ দিনও এই হাসপাতালে ওষুধ থাকে না। বলে সামনের মাসে আসলে দেব। আর তারা কখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলে সেটাই তো বোঝা যায় না। তাদের ইচ্ছেমতো চলে এই এটি। শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, এখানে একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। সাধারণত সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পায় কিনা তা জানা নেই। স্থানীয়রা এ নিয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগও করেনি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যলয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাকিন বলেন, সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। এ সময়ে এসেই তাদের অফিস করতে হবে। সঠিক সময়ে অফিস না করলে ও দায়িত্বে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।