• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:২৬

বোতলে চিঠি ভরে ভাসিয়েছিলেন আটলান্টিকে ৩৭ বছর পর ফিরে পেলেন

  • জাতীয়       
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৩৯
  •       
  • ১৮-০১-২০২৩, ০৯:৫৩:০৫

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কথায় বলে, সমুদ্র কিছুই নেয় না, সবই ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু আদৌও কি তা সত্যি? তারই প্রমাণ পেতে ঠান্ডা পানীয়ের খালি বোতলে কাগজে লেখা চিরকুট ভরে আটলান্টিক মহাসাগরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন মাউন্ট ওয়াশিংটনের বাসিন্দা ট্রয় হেলার। ৩৭ বছর আগের কথা। তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর। বাড়ির বড়দের সঙ্গে সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে খেলাচ্ছলেই ফ্লোরিডার ভেরো সৈকতে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। বোতলে ভরা চিরকুটে লিখে দিয়েছিলেন নিজের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর। সবশেষে লিখেছিলেন, কেউ যদি কোনোদিন ওই বোতলটি ফিরে পান, তাহলে যেন তাকে জানান। এরপর কেটে গেছে প্রায় চার দশক। ছোটবেলায় সমুদ্রে সেই চিরকুট লিখে বোতল ভাসানোর কথাও ভুলে গিয়েছেন তিনি। এমন সময় আচমকা সেই বোতলে ভরা চিরকুট ফিরে পেলেন ট্রয়। স্বভাবতই এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক তিনি।
 
ফ্লোরিডার এক শিক্ষক দম্পতি বোতলটি পান। ট্রয় যেখানে সমুদ্রে বোতলটি ভাসিয়েছিলেন, তার থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সেটির হদিশ মেলে। বোতলের ভেতরে একটি কাগজ দেখে ওই দম্পতির কৌতূহল জাগে। এরপর বাড়িতে নিয়ে এসে বোতলটির মুখ ভেঙে ভিতরে থাকা জীর্ণ কাগজটি বের করেন তারা। ট্রয় জানিয়েছেন, একদিন তিনি বাড়িতে খাচ্ছিলেন। ওই সময় ফ্লোরিডার একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। তিনি রিসিভ করতে পারেননি। এরপরই তিনি ওই নম্বর থেকে একটি মেসেজ পান। তাতে লেখা, সমুদ্রে একটি বোতল খুঁজে পেয়েছি। সেই বোতলের ভেতরে থাকা চিরকুটে তার নাম ও ঠিকানা লেখা। এটাও লেখা আছে, যদি কেউ ওই বোতলটি পান, তিনি যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই মেসেজ পাওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন ট্রয়। তার কথায়, ছোটবেলায় সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে মজা করে বোতলটি ভাসিয়েছিলাম আটলান্টিক মহাসাগরে। দেখতে চেয়েছিলাম, সেটি কোথায় যায়। কিন্তু এত বছর পর সেটি যে, আবার আমার কাছেই ফিরে আসবে, তা ভাবতে পারিনি। আজ বিশ্বাস হলো, সমুদ্র কিছুই নেয় না, সবই সময়মতো ফিরিয়ে দেয়। চিরকুট ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ট্রয়। 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।