• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:১৭

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চাইলে আমদানি মূল্য দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪০
  •       
  • ১৮-০১-২০২৩, ২৩:৫২:০৯

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : ব্যবসায়ী ও শিল্পকারখানার মালিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ চাইলে আমরা (সরকার) যে মূল্যে কিনে আনবো সেই মূল্য তাদের দিতে হবে। সেই মূল্যই তাদের (ব্যবসায়ীদের) দিতে হবে। এখানে ভর্তুকি দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ১৮ জানুয়ারি বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে দেশ ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা অর্জন করে, তাদেরকে ঋণ দেয় আইএমএফ। এখানে তেমন কোনো শর্ত দিয়ে আমরা ঋণ নিইনি। আমরা তো ‍বিদ্যুতে ভর্তুকি দিচ্ছি, গ্যাসে ভর্তুকি দিচ্ছি। আমার প্রশ্ন, পৃথিবীর কোন দেশ বিদ্যুৎ-গ্যাসে ভর্তুকি দেয়? কেউ দেয় না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি, সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। ইংল্যান্ডে বিদ্যুতের দাম দেড়শ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধের পর আমরা এখন মাত্র পাঁচ ভাগ বাড়ালাম, আর কিছু বাড়ছে গ্যাসের দাম।’তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাস যেটা আমরা ৬ ডলারে স্পট দামে কিনতাম, এলএনজি, সেটা এখন ৬৮ ডলার। কত ভর্তুকি দেবে সরকার? সরকার যে ভর্তুকিটা দেবে, সেটা তো জনগণেরই টাকা। আর দ্রব্যমূল্য সারা বিশ্বেই বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো আমরা নিম্ন আয়ের বা মধ্যম আয়ের মানুষদের জন্য ন্যায্যমূল্যের কার্ড দিয়েছি। সেখানে মানুষ মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারে তারা। এছাড়া তেল, চিনি ও ডাল যাতে সীমিত আয়ের লোকেরা কিনতে পারে, তার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিম্ন আয়ের যারা, তাদের জন্য মাত্র ১৫ টাকায় ওএমএসের চাল দিচ্ছি। সেইসঙ্গে তেল, ডাল, চিনিও তারা কম দামে কিনছে। আর হতদরিদ্র যারা কিছুই কিনতে পারে না, তাদেরও কিন্তু আমরা বিনা পয়সায় খাদ্য সরবরাহ করছি। যারা স্বল্প আয়ের, তারা যাতে কষ্ট না পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এ ব্যবস্থা করছি।‘

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষিতে ব্যাপকভাবে ভর্তুকি দিচ্ছি। এখন গ্যাস উৎপাদন, গ্যাস বিতরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ বিতরণে যদি ৪০, ৫০ হাজার, ৬০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় তাহলে সেটা কী করে দেবো? মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে সেটার কিছু সফলতা কিন্তু আমরা দেখাতে পেরেছি। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিন্তু কিছুটা কমেছে।‘বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদে উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের তো স্পষ্ট করে বলেছি যে, গ্যাস আমরা দিতে পারব। কিন্তু যে দামে গ্যাস বাইরে (বিদেশ) থেকে কিনে নিয়ে আসব, সেই দাম যদি দেন, তাহলে আমরা গ্যাস দিতে পারব। যদি নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ চান, তাহলে যে দামে কেনা হবে, তাদের সেই দাম দিতে হবে।‘সরকার প্রধান বলেন, গ্যাসে ভর্তুকি দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আর এটা ভুলে যাবেন না যে, ভর্তুকির টাকা তো জনগণেরই টাকা। যারা বিত্তশালী, যত দাম কম থাকে, তারাই তো সব চেয়ে লাভবান। যারা সাধারণ মানুষ তারা কিন্তু ঠিকমতো বিল দেয়। বিত্তশালীরা আরাম করবে, আর স্বল্প দামে পাবে, সেটা কী করে হবে? কাজেই সে দিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা নিচ্ছি আমরা।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।