• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:২৩

২ সপ্তাহ ধরে ব্যস্ত সড়কেই দাঁড়িয়ে ১১ হাজার ভোল্টের ট্রান্সফরমার

  • জাতীয়       
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৩৮
  •       
  • ১৯-০১-২০২৩, ১০:০৪:১৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ব্যস্ততম এক সড়কের প্রায় মাঝখানে রাখা হয়েছে একটি ১১ হাজার ভোল্টের ভ্রাম্যমাণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। পথচারীদের সতর্ক করতে এতে লেখা হয়েছে, ‘ডেঞ্জার, হাই ভোল্টেজ। ১১,০০০ ভোল্ট। বিপদজনক’। গেল এক সপ্তাহ ধরেই ট্রান্সফরমারটি এভাবেই পড়ে আছে। নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরের ব্যস্ততম কিছুক্ষণ মোড় নামক এলাকায় দুই সপ্তাহ আগে ভ্রাম্যমাণ এ ট্রান্সফরমারটি বসানো হয়। স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার আগের ট্রান্সফরমারটি গত দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ বিভাগ ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটি বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখে। ট্রান্সফরমারটি এভাবে ব্যস্ত সড়কের মাঝে রাখায় পথচারী ও যানবাহন চলাচল ঝুঁকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে শত শত যানবাহন ও পথচারী।
 
দুশ্চিন্তার বিষয় ট্রান্সফরমারের কিছু দূরেই রয়েছে তুলশীরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মহিলা মহাবিদ্যালয়। এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়েই যাতায়াত করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের ওপর বড় লোহার খাঁচা। খাঁচার ভেতরে ট্রান্সফরমার। এর পাশ দিয়ে যানবাহন চলছে। ট্রান্সফরমারের প্রায় গা ঘেঁষে চলছে পথচারীরাও। কয়েকজন শিশুকে ট্রান্সফরমারের পাশ ঘেঁষে বিদ্যালয় থেকে ফিরতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ছোট শিশুরা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় খেলার ছলে ট্রান্সফরমারের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই দ্রুত ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে ফেলা উচিত।
 
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় ট্রান্সফরমারটি বসানোর সময় বিদ্যুৎ বিভাগ দুদিনের মধ্যেই বিকল হওয়া ট্রান্সফরমারটি মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। বিকল হয়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারটি মেরামত করে কবে নাগাদ পুনঃস্থাপন হবে, তা নিয়ে এলাকাবাসী অন্ধকারে। শেরে বাংলা সড়কের রিকশাচালক মামুন মিয়া বলেন, ট্রান্সফরমারটি এখানে বেশি দিন থাকলে যেকোনো সময় সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে অথবা পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন ট্রান্সফরমার বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর বসানো হবে। তখন বিকল হয়ে যাওয়া পুরোনো ট্রান্সফরমারটির পাশাপাশি সড়কের ওপরে থাকা ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটিও সরিয়ে নেওয়া হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।