• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:১৪

দেশেই তৈরি হচ্ছে শাওমি স্মার্টফোনের পিসিবিএ

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : শাওমি বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড এসেম্বলি (পিসিবিএ) উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের 'স্মার্ট বাংলাদেশ' উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে শাওমি। কোম্পানিটি সম্প্রতি তার গাজীপুর কারখানায় আধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ দিয়ে সারফেস মাউন্ট টেকনোলজি (এসএমটি) প্লান্ট স্থাপন করেছে এবং এটি শতভাগ বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হচ্ছে। রেডমি ১০সি হল শাওমির উৎপাদিত প্রথম স্মার্টফোন যা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পিসিবিএ দ্বারা তৈরি। ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের মাধ্যমে শাওমি বাংলাদেশে স্মার্টফোন ও পিসিবিএ তৈরি করছে। ডিবিজি একটি গ্লোবাল ইএমএস কোম্পানি। যাদের ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস রয়েছে বিশ্বব্যাপী। বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য কিছু ব্র্যান্ড ও কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য তাদের কারখানায় তৈরি হয়।
 
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে পিসিবিএ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশের বাজারে দীর্ঘস্থায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতি শাওমি দিচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশে আরও টেক-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও আমরা অবদান রাখতে পারব। রেডমি ১০সি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি পিসিবিএ দিয়ে শাওমির উৎপাদিত প্রথম স্মার্টফোন, যেটি দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। শিগগরিই দেশে উৎপাদিত সকল শাওমি স্মার্টফোনে স্থানীয়ভাবে তৈরি পিসিবিএ ব্যবহার করে বাজারজাত করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’ পিসিবিএ হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তি পণ্যের একটি প্রধান উপকরণ যেটি বিভিন্ন চিপ এবং বৈদ্যুতিক সার্কিটের সাথে সংযুক্ত থেকে স্মার্টফোনের সকল ফাংশনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। শাওমির স্মার্টফোন কারখানাটি এসএমটি প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রায় ২,৫০০ সারফেস মাউন্ট ডিভাইস (এসএমডি) উপকরণ প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড- এ মাউন্ট করে সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী স্মার্টফোনের পিসিবিএ এবং সাব-পিসিবিএ তে রূপান্তর করতে পারে। এ কারখানাটিতে দৈনিক ৬,০০০ পিসিবিএ উত্পাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। পিসিবিএ উৎপাদনের ফলে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের পরিমান প্রায় ১০% বৃদ্ধি পাবে। 
 
২০২১ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশে স্মার্টফোন কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত শাওমি স্মার্টফোনের যাত্রা শুরু হয়। এই বিশাল উদ্যোগের অর্থায়ন করা হয় সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে। দেশে শাওমির মোট স্মার্টফোন চাহিদার প্রায় ৯৫% স্থানীয় কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে । এখানে এন্ট্রি ও মিড রেঞ্জের সব ফোন, যেমন রেডমি ১০এ, রেডমি ১০সি এবং রেডমি নোট ১১ দেশেই উৎপাদিত হয়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।