• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:১১

রেশম উন্নয়ন বোর্ড তীব্র জনবল সংকট ৫৮১টির মধ্যে ৪২৯টি পদ খালি

  • জাতীয়       
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৩৪
  •       
  • ২৪-০১-২০২৩, ০৯:৫৫:২৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : তীব্র জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা ধুকছে রাজশাহীর রেশম শিল্প। রেশম গুটি ক্রয়ের তহবিল সংকট, চায়না সুতার আমদানি ছাড়াও ঋণ সুবিধা না পাওয়ায় এই শিল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এদিকে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডে জনবল সংকট দীর্ঘ দিনের। রেশম বোর্ডে অনুমেদিত পদের সংখ্যা ৫৮১টি। এই পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ১৫২ জন। আর শূন্য পদ রয়েছে ৪২৯টি। জনবল সংকট ছাড়াও শ্রমিকদের সাত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ নিয়ে নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। রোববার (২২ জানুয়ারি) থেকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে- ‘সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তবে এমন সংকটের পরেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিস্টরা বলছেন, দেশে ৯টি উচ্চ ফলনশীল তুঁতজাত উদ্ভাবন করেছে রেশম গবেষণাগার। ফলে রেশম গুটির গড় উৎপাদন বেড়েছে ৩০ থেকে ৭০ কেজি। এমন অবস্থায় সুদিন ফিরতে শুরু করেছে রেশম শিল্পে।    
 
জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে উত্তরা গণভবন, নাটোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজশাহীর রেশম গুটি ও বস্ত্র দেখে চমৎকৃত হন এবং রেশম শিল্প বিকাশে স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তারই ফসল হিসেবে পরবর্তীতে ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্পের ব্যাপক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড গঠিত হয়। তার পরবর্তী সময়ে এখানে জনবল সংকট দেখা দেয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের প্রথম শ্রেণির অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৮৪টি। এর মধ্যে পূরণকৃত পদ রয়েছে ২৫টি। আর শূন্য পদ রয়েছে ৫৯টি। প্রথম শ্রেণির চেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে শূন্য পদের সংখ্যা পাঁচটি কম। তবে এখানে অনুমোদিত পদেও সংখ্যাও কম। দ্বিতীয় শ্রেণিতে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৭২টি। পূরণকৃত পদে রয়েছেন ১৮ জন। আর শূন্য পদ রয়েছে ৫৪টি। তৃতীয় শ্রেণিতে মোট পদের সংখ্যা ৩৬৭টি। এখানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৯০ জন। শূন্য পদ রয়েছে ২৭৭টি। চতুর্থ শ্রেণিতে পদের সংখ্যা ৫৮টি। তার বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৯ জন। শূন্য রয়েছে ৩৯টি পদ। 
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মচারী জানান, জনবল সংকট দীর্ঘদিন ধরে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে বেগ পেতে হয়। নিজের কাজ শেষেও শূন্য পদের ওই মানুষের কাজ তুলতে হয়। এমন অবস্থায় একেজনকে কয়েক জনের কাজ করতে হয়। এদিকে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের ১৫৭ শ্রমিক সাত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করছেন। বিক্ষোভে শ্রমিকরা নিজেদের কষ্টের কথাগুলো গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ১১৯ শ্রমিক, রাঙ্গামাটি কাপ্তাই জার্ম প্লাজম মেইনটেন্যান্স সেন্টার চন্দ্রঘোনা (রাঙ্গামাটি) ২৩ জন ও সাঁকোয়া পঞ্চগড়ের ১৫ জন শ্রমিক রয়েছে। বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের প্রধান সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) ও পরিচালক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কাজী রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা) ড. এম এ মান্নান জানান, রেশম উন্নয়ন বোর্ড, সিল্ক ফাউন্ডেশন ও রেশম গবেষণা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এক সঙ্গে হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ফলে একেক জনকে অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচজনের দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।