- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ ডেস্ক : পোল্যান্ড সোমবার বলেছে, তারা অনুমোদন ছাড়াই ইউক্রেনে জার্মানির তৈরি লেপার্ড ট্যাঙ্ক পাঠাতে ইচ্ছুক, কিন্তু প্রথমে বার্লিনের কাছ থেকে অনুমতি চাইবে। কিয়েভ তার মিত্রদের ভারী অস্ত্রের জন্য চাপ দিচ্ছে। অনেক দেশের সামরিক সরঞ্জামের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কিয়েভ আরও উন্নত ও ভারী অস্ত্রের জন্য বিশেষ করে শক্তিশালী লেপার্ড-এর দাবি করছে। তবে বার্লিন ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পাঠানোর অনুমতি দিলেই তা পাঠানো সম্ভব হবে। এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে বার্লিন। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরায়েকি সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অনুমোদন চাইব।’ এমনকি যদি আমরা শেষ পর্যন্ত এই ধরনের অনুমোদন নাও পাই, তবে আমরা যেভাবেই হোক দেশগুলোর একটি ছোট জোটের মাধ্যমে হলেও আমাদের ট্যাঙ্কগুলো ইউক্রেনকে দেব। এমনকি জার্মানি সেই জোটে না থাকলেও তা দেয়া হবে।পোলিশ সরকারের মুখপাত্র পিওর মুলার পরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ রয়েছে এবং আমরা অবশ্যই আগামী দিনে তা বাস্তবায়ন করব।এদিকে সোভিয়েত যুগের ট্যাঙ্ক ব্যবহারকারি ইউক্রেন বলেছে, বিশ্বের সিদ্ধান্তহীনতা কেবল আমাদের আরও বেশি মানুষকে হত্যা করছে।
পোল্যান্ড এই মাসের গোড়ার দিকে ঘোষণা করেছে, তারা কিয়েভে ১৪টি লেপার্ড ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে স্থানান্তর অনুমোদনের জন্য বার্লিনের কাছ থেকে একটি স্পষ্ট বিবৃতির অপেক্ষা করছে।বার্লিন সব মিত্রদের একসাথে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের মুখপাত্র সোমবার সেই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন যে সরকার ট্যাঙ্কগুলির স্থানান্তরকে বাতিল করেনি, তবে তিনি বলেছেন যে, এখনো এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানি সংঘাতের প্রশ্নে সব সময় সতর্কতার সাথে কাজ করে। জার্মান আইনে যেসব দেশ তার অস্ত্র ক্রয় করে তাদেরকে হস্তান্তর করার আগে অনুমোদন চাইতে হবে। জার্মানির তৈরি অস্ত্রগুলিকে জার্মানির স্বার্থের বিরুদ্ধে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার জন্যই এ আইন। শুক্রবার, প্রায় ৫০টি দেশ কিয়েভকে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে সাঁজোয়া যান ও রুশ বাহিনীকে পিছু হটানোর জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্রও রয়েছে। সোমবার ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেনকে অস্ত্র দিতে অতিরিক্ত ৫০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করতে সম্মত হয়েছেন।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা