• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:২৪

কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা কারারক্ষী বরখাস্ত

  • জাতীয়       
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৩৭
  •       
  • ২৬-০১-২০২৩, ২২:৫৪:২৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দিতে চাওয়ায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত ও দুই কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে ২০২১ সালের ২০ মার্চ থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। তার কয়েদি নম্বর ৪৯৭৬/এ। বৃহস্পতিবার সকালে নজরুল ইসলাম কারাগারের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে (নেট) কাপড়ে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অচেতন হয়ে যান। দায়িত্বরত কারারক্ষীরা আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নজরুল বুকের ব্যথায় অচেতন হয়ে পড়ে বলে জানান। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
সুব্রত কুমার বালা বলেন, পরে প্রকৃত ঘটনাটি জানাজানি হলে কারারক্ষী রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অপর দুই কারারক্ষী মাইনুদ্দিন ও হামিদ গাজীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আর ঘটনাটি তদন্ত করতে কারাগারের জেলার মো. লুৎফর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পাঁচ কার্য দিবস সময় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বুরুদিয়া ইউনিয়নের পাবদা গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রহিমা খাতুনের (১৮) সরলতার সুযোগ নিয়ে নজরুল ইসলাম তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে রহিমা খাতুন গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি তার অভিভাবকদের নজরে আসে। এ নিয়ে সালিসে নজরুল ইসলাম সম্পর্কের কথা স্বীকার করলে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের তিন দিন পর রহিমা একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রহিমা খাতুন নিখোঁজ হন এবং সাত দিন পর এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আঙ্গিয়াদী এলাকার বিলের পানিতে সন্তানসহ রহিমা খাতুনের মরদেহ ভেসে উঠে।
 
২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি রহিমা খাতুনের বড় ভাই আব্দুল আওয়াল বাদী হয়ে নজরুল ইসলামসহ তার পরিবারের চারজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলাম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহাব উদ্দিন নজরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম মামলার একমাত্র আসামি  নজরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।