• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:১৭

দারিদ্র্যতাকে জয় করে সফল খামারি কালাইয়ের মোস্তাফিজুর রহমান

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্যতাকে জয় করে সফল খামারি ও ব্যবসায়ীর খাতায় নাম লিখেছেন জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল শ্রীপুর গ্রামে বসবাস করা মোস্তাফিজুর রহমান।দারিদ্র্যতাকে জয় করা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মাদ্রসা লাইনে পড়া লেখা শুরু করলেও পরিবারের অভাব অনটনের কারণে তা বেশি দূর করা সম্ভব হয়নি। কিছু একটা করার ইচ্ছা শক্তি থেকেই  ছাত্র জীবনের জমানো কিছু টাকা দিয়ে প্রথমে পাশের নুনুজ বাজারে কৃষিপণ্য কেনা বেচা শুরু করেন । সেখান থেকে টাকা জমিয়ে ২০০৭ সালে নুনুজ বাজারে ৯ শতাংশ জমি কিনে শুরু করেন সার ও কীটনাশকের ব্যবসা। এ ব্যবসার আয় থেকে ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ জমির উপর গড়ে তোলেন মায়া এন্ড মিশু ডেইরি এগ্রো ফার্ম নামে স্বপ্নের গাভী পালন খামার। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি গাভী কিনে খামারের কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে দেশী-বিদেশী গাভীর সংখ্যা হচ্ছে ৫৯টি। যার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। গরুর খামার দেখে কালাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হয়েছে মিল্ক ক্রিম সেপারেটর মেশিন। নিজের দুধসহ আশপাশের থেকে দুধ সংগ্রহ করে  মিল্ক ক্রিম সেপারেটর মেশিনের সাহায্যে ক্রিম আলাদা করে সেই দুধ বাজারে বিক্রি করা হয়। আলাদা করা ক্রিম থেকে তৈরি করা হয় নানা  দুগ্ধজাত পণ্য। গাভীর খামারকে কেন্দ্র করে প্রায় ৬ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের পান চং ঘাসের চাষ করছেন। নিজের খামারে থাকা গরু মোটাতাজা করনে ওই ঘাস খাবারের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া বাইরে ওই পান চং গাস বিক্রি করেও টাকা আয় করে থাকেন মোস্তাফিজুর রহমান।

গরুর খামারের পাশাপাশি নুনুজ বাজারে সার ও কীটনাশকের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। গরুর খামার ও ব্যবসা পরিচালনায় মোস্তাফিজুর রহমানের বর্তমানে পাঁচ জন কর্মচারী কাজ করেন। প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম বলেন,  জিরো থেকে হিরো মোস্তাাফিজুর রহমান এখন সফল খামারি। অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে সফলতা এনে দিয়েছে বলে জানান অন্যান্য প্রতিবেশীরা। এলাকায় সফল খামারি হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান এখন অনুকরণীয় বলে জানান, প্রতিবেশী একরাম হোসেন ও সহিদুল ইসলাম। কালাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা  হাসান আলী জানান, সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান অত্যন্ত পরিশ্রমি একজন খামারি। তাকে গাভী পালনে মিল্ক সেপারেটর মেশিন দেওয়া হয়েছে এবং সব সময় খোঁজ খবর রাখা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।