• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:২০

৭ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নদী

  • জাতীয়       
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৩৩
  •       
  • ২৮-০১-২০২৩, ২০:৩১:১৬

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বরগুনায় জেলেদের কাছে অহরহ বিক্রি হচ্ছে পায়রা নদী। আর নদী কিনে মাছ শিকার করতে হচ্ছে জেলেদের। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। নদী বিক্রি নিয়ে জেলেরা জড়িয়ে পড়ছেন হামলা, পাল্টা হামলা এবং মামলায়। এসবের নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়ে আর্থিকভাবে ফায়দা লুটছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনার পায়রা নদীর ৫শ হাত বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় আর ১ হাজার হাত নদী বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। তাদের অভিযোগ- স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বিক্রি হচ্ছে নদী। আর নদী বিক্রির টাকার সিংহভাগ পকেটে ভরছেন প্রভাবশালীরা। এ কারণে নদী বিক্রির প্রতিবাদ করলে শিকার হতে হয় হামলা মামলার।
 
স্থানীয় জেলেরা বলেন, আমাদের কাছে নদী বিক্রি করছে স্থানীয় পনু মল্লিক ও তার সহযোগীরা। নদী না কিনলে আমাদের মাছ ধরতে দিচ্ছে না তারা। এর প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে মামলার হুমকি দিচ্ছে তারা। আমরা মাছ ধরে কত টাকাই বা পাই। এর মধ্যে লাখ টাকায় কিনতে হয় নদী। চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না। প্রশাসনও নিরব ভূমিকায়। বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া গ্রামের জেলে আবদুল মান্নান। পায়রা নদীতে মাছ ধরার জন্য জন্য তালতলী উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামের ইদ্রিসের কাছ থেকে ১ হাজার ২শ হাত নদী কিনেছেন তিনি। যার দাম পড়েছে ৬ লাখ টাকা। জেলে আবদুল মান্নান বলেন, পায়রা নদীর এক হাজার হাত আমি ৬ লাখ টাকায় কিনেছি। তালতলীর ইদ্রিস নামের একজনের কাছ থেকে নদী কিনে এখানে মাছ ধরি। আমার মত আরও অনেকেই এভাবে নদী কিনে মাছ ধরছে। 
 
তবে নদী বিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। অভিযুক্ত পনু মল্লিক বলেন, নদী বিক্রির কোনো প্রমাণ নেই। এটি বানোয়াট কথা। টাকা নেওয়ার কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না। উল্টো জেলেরা তাদের জাল অন্য জেলের কাছে বিক্রি করছে। নদী বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। বরগুনার পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম বলেন, এভাবে নদী বিক্রি করা বেআইনি। সাধারণ জেলেরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে নদীতে মাছ ধরতে পারে সে জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।