- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার বাওরসহ জেলার আরও অন্তত ২০টি জলাশয়ে শীতের পরিযায়ী পাখিদের কলকাকলীতে মুখরিত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাখি দেখা যায় প্রায় ১২ একর আয়তনের তুলাসারের বাওরে। শতাব্দীরও বেশি সময় থেকে শীতের সাথে সাথে প্রায় ২৫ প্রজাতির মনোরম পরিযায়ী পাখি আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে। অতিথি পাখিদের বাহারি সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছে স্থানীয় দর্শনার্থীসহ প্রকৃতিপ্রেমীরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ সকলকে সাথে নিয়ে অভয়াশ্রম তৈরি করে পরিবেশ সহায়ক পাখিদের নিরাপদ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেন শরীয়তপুর-আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় পরিবেশ সহায়ক আবহ বজায় রাখতে পরিযায়ী পাখি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে অন্তত ২৫ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি সদর উপজেলার তুলাসার বাওরসহ জেলার অন্তত ২০টি স্থানে এসে কলকালীতে মুখরিত করে জেলাবাসীকে নিরন্তর আনন্দ দেয়। পাখি মুখর এ পরিবেশ জেলাবাসীকে শত ব্যস্ততার মধ্যেও এনে দেয় প্রাকৃতিক প্রশান্তি। পাখিরা আমাদেরকে শুধু আনন্দই দেয় না, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায়ও অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই আমরা সকলকে এ পরিযায়ী পাখিদের অভয়াশ্রম নিশ্চিতে যা যা করা লাগে তাই করব। অসাধু শিকারিদের কবল থেকে হাজার মাইল দূর থেকে আসা অতিথিদের রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামীম হোসেন বলেন, শীতের সাথে সাথে জেলার বাওর ও জলাশয় গুলোতে শুধু পরিযায়ী পাখিই আসে না, তারা আমাদের পরিবেশ প্রতিবেশকেও করে সমৃদ্ধ। জলবায়ুর প্রতিকূল প্রভাব মোকাবেলায় এ পাখিরাও পালন করছে বন্ধুর ভূমিকা। তাই এ পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা ও অবস্থান নিরাপদ রাখতে আমরা সকলে মিলেমিশে কাজ করব। তাহলে আগামীতেও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্ধু পরিযায়ী পাখি নির্দিধায় জেলার হাওর-বাওর ও জলাশয়ে আশ্রয় নিয়ে আমাদের প্রকৃতিকে করবে সমৃদ্ধ। শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার গ্রামের হোসেন সরদার (৪৫) বলেন, শীতের শুরু থেকেই তুলাসার বাওরে আসতে থাকে নানা রঙের হরেক রকমের পাখি। তবে পৌষ ও মাঘ মাসে থাকে পাখিদের সর্বোচ্চ সংখ্যা। সকাল বিকেল পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ও সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের মানুষসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমায়। আমি বুঝতে শেখার পর থেকেই দেখে আসছি এ অতিথি পাখিদের আনাগোনা ও সৌন্দর্য। কিছু অসাধু শিকারিদের অপতৎপরতা থাকলেও এখন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সকলে মিলেই এ অতিথিদের রক্ষায় কাজ করছি।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা