• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:১৬

কোটি টাকার কলসি থেকে ৪০ গাড়ি ওড়িশার মন্ত্রীর যত সম্পত্তি

  • জাতীয়       
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪৩
  •       
  • ৩০-০১-২০২৩, ১১:৩৪:৫২

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস। এরপর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে মন্ত্রীর সম্পত্তি। রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজ্যটির ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের গান্ধী চকের কাছে গুলির ঘটনাটি ঘটে। এরপর হাসপাতালে নিলে রাতেই মৃত্যু হয় তার। ভারতীয় গণমাধ্যম অন ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, বিজু জনতা দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন নব কিশোর। বেশ প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন নব কিশোর দাস। একইসঙ্গে ওড়িশার সবচেয়ে ধনী মন্ত্রী ছিলেন তিনি। জানা যায়, নব কিশোরের দখলে ৪০টির মতো গাড়ি রয়েছে। প্রায় সবগুলোই দামি। এছাড়া একাধিক হোটেল এবং পরিবহণ ব্যবসা ছিল তার। ব্যবসাতেও বেশ সফল ছিলেন সাবেক এ মন্ত্রী। এছাড়াও বেশ কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রের শনিমন্দিরে ১ কোটি টাকা মূল্যের সোনার কলসি দিয়ে পূজা দিয়েছিলেন এ মন্ত্রী। এরপরই আলোচনায় উঠে আসেন এ মন্ত্রী। অন ইন্ডিয়ার খবরে আরও বলা হয়, বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেও নব কিশোর দাস ছিলেন দক্ষ মন্ত্রী। পর পর তিনবার নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। করোনা মোকাবিলায় খুব ভাল কাজ করেছিলেন এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দক্ষতার সঙ্গে রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ করে বড় সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। এদিকে মন্ত্রী নব কিশোরকে গুলি করা ওই পুলিশ কর্মকর্তার পদ সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর।
 
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাসকে রোববার ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের গান্ধী চকের কাছে এক সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর গুলি করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে তাকে গুলি করা হয় এবং সেটি তার বুকে লাগে। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস তার গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় তাকে গুলি করা হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘রোববার পূর্ব নির্ধারিত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নব কিশোর দাস। তিনি ঘটনাস্থলে এলে তাকে স্বাগত জানাতে ভিড় জমে যায়। এর মধ্যেই হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। আমরা একজন পুলিশ সদস্যকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যেতে দেখেছি।’ বার্তাসংস্থা এএনআই বলেছে, রোববার দুপুরে ওড়িশার শাসক দল বিজিডির একটি নতুন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরে ওই দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছান তিনি। গাড়ি থেকে নেমে দলীয় কার্যালয়ের দিকে এগোতেই হঠাৎ তার ওপর গুলিবর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
 
মন্ত্রীকে গুলি করা ওই পুলিশ কর্মকর্তা গান্ধী চক পোস্টে ডিউটিতে ছিলেন। মন্ত্রী আসার খবর পেয়ে তিনি দলীয় কার্যালয়ের কাছে যান। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামতেই তিনি নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। গুলি চালানোর পরই ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়।  ওড়িশার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশা টিভি জানিয়েছে, অভিযুক্ত গোপাল দাস মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া তার উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা আছে। মন্ত্রীকে গুলি করার ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তার অসুস্থতার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।