• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৬

পৃথিবীর আকাশে বিরল সবুজ ধূমকেতু

দেশকন্ঠ ডেস্ক :এক বছর, দু’বছর বা ১০০ বছর নয়, প্রায় ৫০ হাজার বছর পর ফের দেখা দিয়েছে ‌‘অ্যা রেয়ার গ্রিন কমেট’ নামের এক বিরল ধূমকেতু। সম্প্রতি লাদাখের আকাশে এর দেখা মিলেছে। অ্যাস্ট্রোফোটোগ্রাফারেরা ইতোমধ্যেই ধূমকেতুটির সুন্দর ও আকর্ষণীয় কিছু ছবিও তুলেছেন। যা বেশ রোমাঞ্চকর।শেষবার যখন পৃথিবীর আকাশে এ সবুজ রঙের ধূমকেতুটি ফুটে উঠেছিল তখন এই গ্রহে রাজত্ব করতো নিয়ান্ডারথাল মানুষেরা। প্রাগৈতিহাসিক সেই যুগের পর আবারও ফিরে এসেছে সেই মহাজাগতিক আলোকপিণ্ডটি। যার পোশাকি নাম সি/২০২২ ই৩ (জেডটিএফ)। গত বছরের মার্চে বৃহস্পতির কক্ষপথে তাকে খুঁজে পেয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের মাঝে ঘণ্টায় প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার কিলোমিটার বেগে ঘুরে বেড়াচ্ছে সবুজ রঙের এই ধূমকেতুটি। এর নিউক্লিয়াসের আয়তন ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার, আর এর লেজটি সুদীর্ঘ।কয়েকলাখ কিলোমিটার দীর্ঘ। ধূমকেতুটি যত সামনে আসবে তত উজ্জ্বল লাগবে। দিগন্ত তত সুন্দর অপরূপ লাগবে।ধূমকেতুর শরীরে থাকে বরফের আচ্ছাদন। ভিতরে থাকে অন্ধকার জৈব উপদান। সৌরজগতের গঠন সম্পর্কে বিশদে জানতে ধূমকেতুর উপর নির্ভর করেন বিজ্ঞানীরা। তাই প্রতিটি নতুন ধূমকেতুকে (Comet) নিরীক্ষণ করেন তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই সবজেটে এই ধূমকেতুকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ ভাবেই।

উল্লেখ্য, এটি সূর্যের যত কাছে এগোচ্ছে, ততই গলে যাচ্ছে তার বরফের লেজ।বিজ্ঞানীরা জানান, লাদাখে অবস্থিত হিমালয়ান চন্দ্র টেলিস্কোপ তুলে ফেলেছে এই নব আবিষ্কৃত ধূমকেতুর ছবি। টেলিস্কোপে তার চলন খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে গড়পড়তা ধূমকেতুর তুলনায় এটি বেশ দ্রুতগামী।কেমন গঠন এই ধূমকেতুটির? সে উত্তরে জানা যাচ্ছে, এর লেজের সংখ্যা দুই। যা তৈরি হয়েছে মূলত গ্যাস ও ধুলো দিয়ে। ধূমকেতুটি আমাদের সৌরজগতের একেবারে শেষ প্রান্তেই সবচেয়ে বেশি সময় কাটায়। বিভিন্ন শিলা এবং বরফের যে পরিমণ্ডল আমাদের সৌরমণ্ডলকে ঘিরে রেখেছে, তার মধ্যেই অবস্থান তার। সেখানে অন্য নক্ষত্র এমনকি আকাশগঙ্গার অভিকর্ষ শক্তি সূর্যের চেয়েও ঢের বেশি। তার জেরে কখনও কখনও মহাজাগতিক বস্তু সমূহ ছিটকে বেরিয়ে আসে। সে ভাবেই ফের পৃথিবীর আকাশে দেখা মিলতে চলেছে এ ধূমকেতুর।এবার দূরে চলে গেলে ফের কি ৫০ হাজার বছর পরে আবারও ফিরবে সি/২০২২ ই৩? জেসিকা লি নামের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এ বিষয়ে জানান, “আমাদের কাছে এমন হিসেব নেই যে এবার পৃথিবী পেরিয়ে গিয়ে কত দূর চলে যাবে ধূমকেতুটি। তবে এটা বলতেই পারে, আবারও যদি এটা ফিরে আসে সেটা অন্তত ৫০ হাজার বছরের আগে হবে না।”বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি খালি চোখেও দেখা যাবে। তবে টেলিস্কোপেই ভাল দেখা যাবে। খালি চোখে দেখা গেলেও ততটা উজ্জ্বল ভাবে যাবে না। একটু খেয়াল করলেই আকাশে ওই সবুজ ধূমকেতুকে দেখা যাবে। তবে ধীরে ধীরে কমে যাবে উজ্জ্বলতা।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।