- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
দেশকন্ঠ ডেস্ক : শুরু হলো ভাষার মাস রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পর পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির এক বছরের মাথায় বাঙালির স্বপ্নভঙ্গ। শুরুতেই ভাষার ওপর আঘাত। মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে রক্ত দেয় বাঙালি। একুশের চেতনায় বাঙালি এগিয়ে যায় স্বাধীনতার পথে।ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরে এসে এখনো সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করতে না পারার আক্ষেপ ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের।ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তবে পাকিস্তানি শাসকরা প্রথমেই আঘাত হানে বাঙালির মাতৃভাষার উপর। ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ পুর্ব বাংলাা সফরে এসে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দেন ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা’। এর প্রতিবাদে ছাত্র শিক্ষক জনতা রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলে।
১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারির গণমিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। শহীদ হন সালাম বরকত, রফিক, জববারসহ আরও ক’জন। অবশেষে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার।দুই হাজার সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। এ দিন বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।বাংলাভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য ছিল সর্বস্তরে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠা। তবে সেই দাবির বাস্তবায়ন এখনও পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা করা হলে জাতি যেমন উপকৃত হবে তেমনি ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে বলে মনে করছেন ভাষাবিদ ও গবেষকরা।
দেশকন্ঠ/এআর
পথরেখা : আমাদের কথা