• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:১৩

কুমিল্লায় সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে পাম্পে পানি তোলা হচ্ছে

দেশকন্ঠ ডেস্ক : জেলায় বিদ্যুৎ, তেল, ডিজেল ছাড়াই  সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে পাম্পে পানি তোলা হচ্ছে।  গ্রামের অনেক কৃষকের কাছে এটা বিস্ময়কর। সেই পাম্পটি দেখতে প্রতিদিনই কৃষক ভিড় জমাচ্ছেন। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের মাঠে এখন সৌর বিদ্যুতের সেচ উৎসব চলছে। বিদ্যুৎ ঘাটতির এ সময়ে সৌর বিদ্যুতের সেচ পাম্প কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার নলকুড়ি মাঠে এ রকম একটি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে। এএলাকায় এ রকম আরও কয়েকটি পাম্প বসানো হয়েছে। এতে কৃষকের ফসল উৎপাদন বাড়ছে, পরিবেশ দূষণ কমছে। কৃষকের সঙ্গে লাভবান হবেন উদ্যোক্তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের মধ্যে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। তার পাশে চলছে সেচ পাম্প। গড়গড় শব্দে উঠছে পানি। পাম্পের পানি ছড়িয়ে পড়ছে পাশের ১৫ একর জমিতে। এসব জমিতে আগে খাল ও পুকুরের স্বল্প পানি ব্যবহার করা হতো। তাও সব সময় পাওয়া যেত না। অনেকে পানি সংকটে জমি পতিত ফেলে রাখতেন। এখন নিরবচ্ছিন্ন পানি পেয়ে কৃষকদের আশা, এ মাঠে এবার ভালো ফসল হবে। নলকুড়ি মাঠে সৌর বিদ্যুতের সেচ পাম্প বসিয়েছেন স্থানীয় তরুণ উদ্যোক্তা আকিবুল ইসলাম মজুমদার। তিনি জানান, ছয় মাস আগে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ভর্তুকি দিয়ে এ পাম্প বসিয়ে দিয়েছে। তিনি প্রথমে ৫০ হাজার টাকার মতো দিয়েছেন। আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা ১০ বছরের কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। তিন মাস তিনি পাম্পটি সেচ কাজে ব্যবহার করবেন। বাকি সময় গ্রামে বিদ্যুৎ বিক্রি বা পল্লী বিদ্যুতের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবেন।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, সৌর বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব। এ সেচ পাম্পের পানি দিয়ে ১৫ একর জমি চাষ করা হচ্ছে। এসব জমির অধিকাংশ পানি সংকটে পতিত থাকত। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবাশীষ সিকদার বলেন, এখানে সরকার প্রতিটি পাম্পে ১০ লাখ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় ২৫টি সেচ পাম্প বসানোর টার্গেট রয়েছে। এ সংখ্যা সামনে আরও বাড়বে। সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হবে না। কৃষকের ব্যয় অনেক কমে আসবে।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।