• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১০ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২১

রমেকে ৪৭ বছরেও হয়নি মরদেহের ভিসেরা পরীক্ষার ব্যবস্থা

  • জাতীয়       
  • ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪৪
  •       
  • ০৮-০২-২০২৩, ১০:৩৫:২৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষের চিকিৎসা সেবাপ্রাপ্তির অন্যতম ভরসাস্থল রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। অথচ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছরেও মৃতদেহের ভিসেরা পরীক্ষার (অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পরীক্ষা) কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। রমেক হাসপাতালে ভিসেরা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় যেতে হয় রাজশাহীতে। ফলে মামলা সংক্রান্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীদের বিচার পেতে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভিসেরা রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মামলার তদন্ত কার্যক্রম। অজ্ঞাত মরদেহের রক্তের নমুনা সংগ্রহে পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়।
 
রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজে আসা হত্যা, রহস্যজনক মৃত্যু ও সন্দেহজনক মৃত ব্যক্তিদের শুধু ময়নাতদন্ত করা হয়। ভিসেরা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রংপুর মেডিকেল কলেজে নেই। এই পরীক্ষা করতে রাজশাহীর ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট পেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ফলে মামলার তদন্ত কাজ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি মামলার বিচার শুরু হওয়ার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিটি বিভাগীয় শহরের ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হলেও রংপুরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা বলছেন, ভিসেরার বিষয়টি সিআইডি পুলিশ মনিটরিং করেন। তারাই ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন।
 
সূত্র মতে, গত জানুয়ারি মাসে রমেকে ময়নাতদন্ত হয়েছে ২১টি মরদেহের। এর মধ্যে ৮-১০টির ভিসেরা পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভিসেরা পাঠানোর প্রক্রিয়া একটু এদিক-সেদিক হলে রিপোর্টের ফলাফল অন্যরকম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট রাজশাহীতে পাঠানোর পরে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কারণ মরদেহের ভিসেরা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মামলাও গতি পায় না। রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম জানান, ভিসেরা রিপোর্টের জন্য আমাদের রাজশাহী ফরেনসিক বিভাগের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ভিসেরা পরীক্ষার বিষয়টি সিআইডি পুলিশ দেখাশোনা করে। তারাই এগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।