• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:৪৫

বাইডেন-লুলা বৈঠকে গণতন্ত্র সুরক্ষা জলবায়ু সংকট মোকাবিলার অঙ্গীকার

  • আন্তর্জাতিক       
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩       
  • ৬৫
  •       
  • ১১-০২-২০২৩, ২২:৪৬:৪২

দেশকন্ঠ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট  জো বাইডেন ও  ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে আলোচনায় আমেরিকার দুটি বৃহত্তম  দেশ সফলভাবে তাদের গণতন্ত্রের উপর হামলা মোকাবিলা করেছে এবং এখন জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এই দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে মত দেন। বাইডেন লুলাকে বলেন, আমাদের উভয় দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র পরীক্ষিত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল উভয়ই গণতন্ত্র বিজয়ী। ওভাল অফিস-এর বৈঠকে, বাইডেন ও লুলা তাদের পারস্পরিক অভিন্ন দিকগুলোর ওপর  সংহতি প্রকাশ করেন। বাইডেন ২০২০ সালে ডোনাল্ড  ট্রাম্পকে পরাজিত করে ক্ষমতায় বসেন। তবে  নির্বাচনে নিজেকে প্রকৃত বিজয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করায় ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন ট্রাম্প । কিন্তু দুই মাস পরে এক দল  ট্রাম্প সমর্থক কংগ্রেসে আঘাত হানে। এদিকে ব্রাজিলে সাম্প্রতিক নির্বাচনে,  ডানপন্থি জাইর বলসোনারোকে পরাজিত করে এই জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণ করেন লুলা। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই  বোলসোনারো সমর্থকরা সরকারি ভবনে হামলা চালায়। লুলা বাইডেনকে বলেন, আমাদের কিছু অভিন্ন বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আমরা একসাথে কাজ করতে পারি। এসব বিষয়ের প্রথমটি হল- গণতন্ত্রবিরোধীতাকে আর কখনও সয্য না করা।

বাইডেন ও লুলা আলোচনার ফাঁকে আমাজন  রেইনফরেস্ট বাঁচাতে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। বাইডেন বলেন,  তাদের অভিন্ন মূল্যবোধ তাদেরকে একই অবস্থানে রেখেছে, বিশেষত যখন জলবায়ু সংকটের কথা আসে। তবে বাইডেন প্রশাসন ব্রাজিলে বন উজাড়-বিরোধী অর্থায়ন প্রচেষ্টায়  আন্তর্জাতিক প্রকল্প অ্যামাজন ফান্ডে অবদান রাখতে রাজি হবে কিনা, তা আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। এ সম্পর্কে লুলা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি তারা(যুক্তরাষ্ট্র) করবে। আমি মনে করি না যে তারা করবেই, তবে তাদের অংশগ্রহণ  প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ তিনি  বলেন,  ‘আমি কেবল আমাজন তহবিল নিয়ে আলোচনা করি নাই বরং  ব্রাজিলের  রেইনফরেস্টসহ  দেশগুলিকে তহবিল  দেওয়ার জন্য ধনী  দেশগুলির দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেছি।’ লুলা ওভাল অফিসে বাইডেনকে বলেন, তার পূর্ববর্তী  প্রেসিডেন্ট তার সময় ২০০৩-২০১০ এর মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস শোষণের ‘বিশ্বের ফুসফুস’ হিসেবে পরিচিত বৃহত্তম রেইনফরেস্ট ব্রাজিলের অ্যামাজনের বন উজাড় করার জন্য ব্রাজিলকে প্ররোচিত করেছি ।         
                                                                                                                                                                              

অন্যদিকে,বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন  নেতৃত্বকে তার নিজের প্রধান অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছেন। বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস করায়  ঐতিহাসিক চুক্তি  থেকে  ট্রাম্প বেরিয়ে যাওয়ার পর বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরিয়ে আনেন। ইউক্রেন প্রশ্নে মতভিন্নতা: বাইডেন ও লুলা ইউক্রেন প্রশ্নে পুরোপুরি একমত নন। ওভাল অফিসে রাশিয়ার আগ্রাসণের বিষয়টি তাদের আলোচনার সূচনায় আসেনি।রাশিয়াকে প্রতিহত করার জন্য  ইউক্রেনকে অস্ত্র, সামরিক প্রশিক্ষণ ও কূটনৈতিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সমাবেশ করার জন্য একটি অভূতপূর্ব পশ্চিমা প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছেন বাইডেন । তবে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো  বেশ কয়েকটি প্রধান গণতান্ত্রিক  দেশের ন্যায়  ব্রাজিল ইউক্রেনকে  সামরিক সহায়তা ও রাজনৈতিকভাবে মিশ্রবার্তা পাঠাতে অস্বীকার করে। তবে বৈঠক শেষ হওয়ার পর, লুলা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আন্তর্জাতিকভাবে  রাশিয়ার যুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয়, এমন কয়েকটি দেশের একটি দলকে একত্রিত করতে চান।  তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত  যে এই যুদ্ধ শেষ করার জন্য আমাদের একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। বাইডেন একই উদ্বেগ  প্রকাশ করেন, তিনি বলেন, ‘মূল বিষয় হল যুদ্ধ বন্ধ করা।’
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।