• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৪৫

ডালের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে : কৃষি সচিব

দেশকন্ঠ ডেস্ক : কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, ডালের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে। তিনি বলেন, মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টিচাহিদা মেটাতে ডালের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে ডাল খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব ডাল দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিসচিব এসব কথা বলেন। দেশে প্রথমবারের মতো ডাল দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এই সেমিনার, র‌্যালি ও ডালের তৈরি খাবারের প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিলো-‘টেকসই আগামীর জন্য ডাল’।কৃষি সচিব বলেন, ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য, এটির  উৎপাদনে গুরুত্ব বেশি দিতে হয়। ধানের সাথে ডালসহ অন্যান্য ফসল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। সেজন্য ধানের উৎপাদন না কমিয়ে ডালের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, এ বছর যেমন ধানের উৎপাদন না কমিয়েই ২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর বেশি  জমিতে আমরা সরিষা আবাদ বাড়াতে পেরেছি, তেমনি ডালের উৎপাদন বাড়াতেও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। যাতে বছরে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টন ডাল উৎপাদন করতে পারি, তাতে আমদানি নির্ভরতা অনেকটা হ্রাস পাবে।

কৃষি সচিব আরও বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে বিগত ১৪ বছরে ডালের উৎপাদন প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে বর্তমানে ডাল উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু ডালের চাহিদা বছরে প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। ফলে প্রতিবছর প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লাখ মেট্রিক টন ডাল আমদানি করতে হয়। এতে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়।সেমিনারে বারির ডাল গবেষণা কেন্দ্র জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৪৫ গ্রাম ডালজাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দেশে মাথাপিছু প্রাপ্যতা ২৮ গ্রাম, আর মানুষ মাথাপিছু মাত্র ১৭ গ্রাম ডাল খেয়ে থাকে।বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার বলেন, ডাল বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক আধুনিক উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব উচ্চফলনশীল জাতের চাষ ও সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে হেক্টর প্রতি ফলন ২ দশমিক ৫ টনে উন্নীত করা সম্ভব হবে। বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন,  সাবেক পরিচালক তপন কুমার দে, এসিআইএআরের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এমজি নিয়োগী, এসিআই এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফএইচ আনসারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আশুতোষ সরকার।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।