দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : জয়পুরহাটে কমছে না তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ। গত এক বছরের প্রত্যেক দিনে গড়ে ১৪টি বিবাহ নিবন্ধিত হলেও দিনে ১০টি তালাকের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ বিবাহের তুলনায় ৭১ শতাংশ তালাকের ঘটনা ঘটেছে। তালাক দিতে এগিয়ে আছেন নারীরা। বিবাহ বিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার পেছনে মুঠোফোনে পরকীয়া, সন্দেহ, মানসিক অবসাদ, যৌতুক, দাম্পত্য কলহসহ নানামুখী চাপের পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন এবং যোগাযোগ কমে যাওয়াকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সূত্র জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ৫ হাজার ২৬০টি বিবাহ নিবন্ধিত হয়েছে। একই সময়ে আবার ৩ হাজার ৭৩৬টি তালাক হয়েছে।
এর মধ্যে ছেলের পক্ষ থেকে তালাক ৭৭৩টি, মেয়ের পক্ষ থেকে তালাক এক হাজার ৪৭১টি এবং উভয়পক্ষ আপস রফায় তালাক হয়েছে এক হাজার ৪৯২টি। অর্থাৎ ছেলেপক্ষ থেকে তালাকের প্রায় দ্বিগুণ তালাক হয়েছে মেয়ের পক্ষ থেকে। জয়পুরহাট জেলায় ৩২টি ইউনিয়ন পরিষদ ও পাঁচটি পৌরসভা রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলোতে নিকাহ রেজিস্ট্রার রয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৭ জন কাজি জেলায় বিবাহ নিবন্ধন ও তালাকনামা করেছেন। পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) শাহ্ আলম বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ নানা কারণে হচ্ছে। তবে গত বছর মুঠোফোনে পরকীয়ার কারণেই তালাক বেশি হয়েছে। উভয় পরিবারেরর সম্মতিতে বিয়ে হলেও কয়েক মাসের মধ্যে মেয়ে বা ছেলে অন্যত্র পরকীয়ায় লিপ্ত হচ্ছে আর তালাকের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে ছেলের চেয়ে মেয়ের সংখ্যায় বেশি।
দেশকন্ঠ/অআ