দেশকন্ঠ প্রতিবেদক : আগামীকাল রোববার খুলে দেয়া হচ্ছে কালশী ফ্লাইওভার। সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন শেখ হাসিনা। এরপরই এটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা। ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। মিরপুরের কালশী ছিল যানজট আর জলাবদ্ধতার এলাকা। সেই কালশীই এখন নগরবাসীর কাছে স্বস্তির নাম। চালু হওয়ার অপেক্ষায় কালশী ফ্লাইওভার। ২ দশমিক তিন চার কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারের তিনটি র্যাম্প রয়েছে। মিরপুর ডিওএইচএস প্রান্ত এবং ইসিবি চত্বর প্রান্ত থেকে ফ্লাইওভারে ওঠা এবং নামা যাবে। কালশী রোড প্রান্ত দিয়ে কেবল ফ্লাইওভারে নামার সুযোগ রয়েছে। তবে ওঠা যাবে না।
নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আকতার মাহমুদ বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ফ্লাইওভারের নিচে ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে, যা ইসিবি চত্বর থেকে শুরু হয়ে কালশী মোড় হয়ে মিরপুর ডিওএইচএসে শেষ হয়েছে। বাস, রিকশা, সাইকেলের জন্য করা হয়েছে আলাদা আলাদা লেন।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।কালশী ফ্লাইওভার প্রকল্পের আওতায় দুটি ফুটওভার ব্রিজ, একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ, দুটি পুলিশ বক্স, বাস বে এবং যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/এআর