দেশকন্ঠ ডেস্ক : থেমে যেতে পারে পৃথিবীর ইনার কোর বা অভ্যন্তর ভাগের ঘূর্ণন, এমনকি ঘুরতে পারে উল্টো দিকেও। এমন অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। নেচার জিওসাইন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, সাম্প্রতিক দশকে পৃথিবীর ইনার কোরের ঘূর্ণন থেমে গেছে। তবে, আরেক বিজ্ঞানীর দাবি, এখনো পুরোপুরি থেমে যায়নি, আগের তুলনায় গতি কমিয়েছে পৃথিবীর কেন্দ্র। মহাকাশ, মহাশূন্য সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ অসীম। প্রযুক্তি যতো আধুনিক হচ্ছে ততোই বিস্তৃত হচ্ছে জ্ঞানের পরিধি। উন্মোচন হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। নানা গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করে আসছেন, ভূভাগ বরাবর ক্রমাগত ঘুরছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল। তবে, একমুখী নয়, বরং সময় বিশেষে দিক পরিবর্তন করে পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের এ ঘূর্ণন।
সম্প্রতি এ বিষয়ে নতুন গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল নেচার জিওসায়েন্স। চিনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এক দিকে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ থেমে গিয়ে আবার বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল। তবে, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক ভূপদার্থবিদের দাবি, পুরোপুরি থেমে যায়নি। আগের তুলনায় গতি কমিয়েছে পৃথিবীর কেন্দ্র। তার মতে, এক দশক আগে পৃথিবীর ইনার কোরের যে গতি ছিল তা অন্য গ্রহের গতির তুলনায় বেশি ছিল। বর্তমানে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়, গতি থেমেছে বলে মনে হচ্ছে।
গবেষকদের মতে, প্রতি ৩৫ বছর অন্তর পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করে। একটি ঘূর্ণন সম্পূর্ণ করতে সাত দশক সময় লাগে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গের গতিপ্রকৃতি পরীক্ষা করতে গিয়ে ১৯৩৬ সালে পৃথিবীর ইনার কোর আবিষ্কার করেন গবেষকরা। আর, ১৯৭০ সালের গোড়ার দিকে প্রথম পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের ঘূর্ণনের অস্তিত্ব মেলে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আবার ২০৪০ সালের মাঝামাঝি সময়ে দিক পরিবর্তন করে উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করবে কেন্দ্রস্থল।
দেশকন্ঠ/এআর