• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:২০

কোন সমস্যায় কোথায় গেলে মিলবে আইনী সহায়তা

  • সারাদেশ       
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩       
  • ৫৫
  •       
  • ২১-০২-২০২৩, ২১:৫৫:১৭

দেশকন্ঠ প্রতিবেদক :  জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন সময় নানান সমস্যায় পড়ি। কোথায় যাবো, কি করবো- দ্বিধায় থাকি। অজ্ঞতার বশে অনেক সময় আমরা ভুল সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলি। আসুন জেনে নেই কোন সমস্যায়, কোথায় গেলে সঠিক সিদ্ধান্ত, পরামর্শ বা সহায়তা নিতে পারবো।
 
গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা যেমন- থানা হেফাজতে হত্যা, নারী-শিশু-মানব পাচার, অপহরণ, ধর্ষণ, শিশু শ্রম, বাল্যবিবাহ, বধূ-নারী-শিশু নির্যাতন, পুরুষ নির্যাতন, জমিজমা বিষয়ক আইনী সহায়তা এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড সহ আরও অনেক কিছু। এরকম যখন হবে নিচের কয়েকটি সরকারী-বেসরকারী সংস্থার কাছে গেলে আইনী সাহায্য বা পরামর্শ পেতে পারেন। 
 
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন বয়সের দেশী বা বিদেশী যে কোন ব্যক্তি কমিশনে অভিযোগ করতে পারেন। অর্থাৎ গ্রামের বা শহরের, সমতলের বা পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর ধনী, গরীব, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষিত অথবা অশিক্ষিত যে কেউ কমিশনে অভিযোগ করতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি নিজে অথবা তাঁর পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও অভিযোগ করতে পারেন। অবস্থা বিবেচনায় কমিশন স্ব-উদ্যোগেও অভিযোগ গ্রহণ করতে পারে।
 
কী ধরনের অভিযোগ করা যায়?
মৌলিক অধিকার নাগরিককে দেয়া হয়েছে তার লঙ্ঘন হলে বা লঙ্ঘনের আশঙ্কা তৈরি হলে বা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বর্ণিত অধিকারসমূহ লঙ্ঘিত হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করা যায়। 
ঠিকানা:
নবম তলা, বিটিএমসি ভবন,৭-৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
ফোন: চেয়ারম্যান- ৫৫০১৩৭১৩,
সার্বক্ষণিক সদস্য- ৫৫০১৩৭১৫,
সচিব- ৫৫০১৩৭১৬,
পিএবিএক্স ফোন: ৫৫০১৩৭২৬-২৮
ফ্যাক্স: ৫৫০১৩৭২৫;
 
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)
বাংলাদেশের একটি বেসরকারী সংস্থা যারা মানবাধিকার যেমন নারী শিশু সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আইন সহায়তা দিয়ে থাকে । 
 
অফিসের ঠিকানা    
২/১৬, ব্লক বি, লালমাটিয়া, ঢাকা
ফোন: ০-২-৮১০০১৯২, ৮১০০১৯৫, ৮১০০১৯৭ 
মোবাইল: ০১৭১৪০২৫০৬৯ 
 
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট(ব্লাস্ট)
বাংলাদেশে বেশিরভাগ জনগন সীমিত আইন সহায়তা পাওয়ার সুযোগ পায় । তাদের মধ্যে নারী শিশু, প্রান্তিক জনগন, যারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার, দরিদ্র হয় তাদের ব্লাস্ট আইনী সহায়তা দিয়ে থাকে। প্রত্যেক ব্যক্তির বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা এবং তাদের মানবাধিকার এবং সম্মান রক্ষা করা, যাতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
ঠিকানা
YMCA ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, ( ৪র্থ -৬ষ্ঠ তলা) ১/১ পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইল, ঢাকা- ১০০০
ফোন নম্বর০২৮৩৯১৯৭০-২
 
জাতীয় আইন সহায়তা কেন্দ্র    
আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়।
 
লিগ্যাল এইড অফিস থেকে যেসব আইনি সেবা প্রদান করা হয়: 
১. যে কোনো ব্যক্তি, তার আর্থিক সামর্থ্য যা-ই হোক না কেন, সরকারি আইনগত সহায়তা কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত আইনগত তথ্যসেবা গ্রহণ, আইনগত পরামর্শ গ্রহণ কিংবা বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে আপসযোগ্য বিরোধসমূহ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সেবাসমূহ;
২. অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মামলা দায়েরের প্রয়োজন হলে সরকারি খরচে মামলা দায়ের ও পরিচালনা করা;
৩. মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগ;
৪. আদালত থেকে প্রেরিত মামলাসমূহ মধ্যস্থতা করা;
৫. বিনা মূল্যে ওকালতনামা সরবরাহ; 
৬. আইনজীবীর ফি পরিশোধ; 
৭. মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক সব ব্যয় পরিশোধ;
৮. ফৌজদারি মামলার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যয় পরিশোধ;
৯. মধ্যস্থতাকারী বা সালিশকারীর সম্মানি পরিশোধ; 
১০. ডিএনএ টেস্টের যাবতীয় ব্যয় পরিশোধ;
১১. বিনা মূল্যে রায় কিংবা আদেশের অনুলিপি সরবরাহ।
 
কেন্দ্রীয় অফিসের ঠিকানা
১৪৫, নিউ বেইলী রোড, (জাতীয় মহিলা সংস্থা ভবনের ৮ম তলা) ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০২-৮৩৩১৯০৬
ফ্যাক্স: ০২-৯৩৩১৭৩৭
 
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯
জাতীয় জরুরী যেকোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে জরুরি সেবা পেতে দেশের যেকোনো স্থান থেকে যে কেউ এই নম্বরে ফোন করতে পারেন। পুলিশের অধীনে এই কল সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। টোল ফ্রি ৯৯৯ এই নম্বরে ফোন করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা কিংবা যে কোন তাৎক্ষনিক সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এ কল সেন্টার চালু থাকে। 
দেশকন্ঠ/এআর
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।