• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ১০ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৬

বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের প্রবেশদ্বার হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪৮
  •       
  • ২৩-০২-২০২৩, ০১:২৯:২০

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের প্রবেশদ্বার এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল। প্রধানমন্ত্রী সরকারী বাসভবন গণভবনে বসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) তৃতীয় টার্মিনাল সম্প্রসারণের উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করার পর, তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে এক মুখপাত্র বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থান এবং সরকারের উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ হবে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের প্রবেশদ্বার এবং যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল’। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিতে ভৌগলিক অবস্থানের সুবিধা গ্রহনে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ এবং কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণ এবং রানওয়ের সম্প্রসারণের চলমান কাজের কথা উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে পূর্ব ও পশ্চিমের সেতুবন্ধন এবং বিমান চলাচলের প্রবেশদ্বার।’ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে জ্বালানি রিফুয়েলিংয়ের জন্য ব্যবহার করা গেলে আন্তর্জাতিক রুটের দৈর্ঘ্য কমে যাবে। তিনি বলেন, এখন যেমন সবাই বিমানের রিফুয়েলিংয়ের গেটওয়ে হিসাবে দুবাইকে ব্যবহার করছে,  কক্সবাজারও ঠিক তেমনি  একটি গেটওয়ে হয়ে উঠবে।  আন্তর্জাতিক রুটে জ্বালানি রিফুয়েলিংয়ের জন্য কক্সবাজার স্বল্প দূরত্বের মধ্যে এসে গেলে, তখন আর এদিক-সেদিক ঘুরতে হবে না, সবাই সরাসরি কক্সবাজার থেকেই এই সুবিধা নিতে পারবে। সরকার প্রধান বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো জ্বালানি নিতে কক্সবাজারে এলে, দেশের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালার বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে সবকিছুই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পরিচালিত হবে, যাতে মানুষ খুব দ্রুত এবং সহজে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিমানবন্দরের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব একটি বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর সামনে তৃতীয় টার্মিনাল সম্প্রসারণ প্রকল্পের হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরে এইচএসআইএর তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে। এ পর্যন্ত তৃতীয় টার্মিনালের ৬১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে মফিদুর রহমান বলেন, আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে মোট প্রকল্পের ৯৩ শতাংশ কাজ শেষ হবে, সামান্য কিছু কাজ বাকি থাকবে। সিএএবি চেয়ারম্যান বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকায় বাড়তে পারে, তবে টার্মিনালে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও দক্ষতা যোগ হবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ ছাড়াও, ফরাসি রাডার প্রস্তুতকারক থ্যালসের দ্বারা রাডার স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দ্রুত রাডার স্থাপনের কাজ শেষ করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। রাডার স্থাপনের মাধ্যমে দেশের আয় আরও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন রাডার স্থাপনের ফলে আরও ভালো রিটার্ন আসবে। কারণ তখন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলো ট্র্যাক করা সহজ হবে।সিভিল এভিয়েশনের মতে, নতুন রাডার স্থাপনের প্রকল্পটি ২০২১ সালের অক্টোবরে নেওয়া হয়েছিল, যা ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তৃতীয় টার্মিনাল এবং রাডারটি স্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ হওয়ায়, একই সময়ে উদ্বোধন করা হবে। রাডারের আওতা ক্ষমতা ভারত ও মায়ানমার থেকে অর্জিত সমুদ্রসীমা পর্যন্ত প্রসারিত হবে। এটি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক এবং নিরাপদ করতেও সাহায্য করবে।বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।