দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে দেশের টাকা লুট ও পাচার করতে একের পর মেগা প্রকল্প করছে। এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের একটি পথ, সেটি হলো আন্দোলন।’ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে যুবদলের নতুন কমিটির উদ্যোগে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা মামুন হাসান, নূরুল ইসলাম নয়ন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কামরুজ্জামান দুলাল, জাকির হোসেন নান্নু, সাঈদ ইকবাল টিটু , খন্দকার এনামুল হক এনাম, মশিউর রহমান মিশু, রুহুল ইসলাম মনি, গিয়াস উদ্দিন মামুন, আলমগীর হাসান সোহানসহ যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরিয়ে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান তৈরি হবে। সরকারকে পরাজিত করে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করেছে। মানুষ চাল কিনতে পারেন না। ওএমএস বন্ধ করেছে। এখন কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি করতে চায় যাতে এর মাধ্যমে নতুনভাবে দুর্নীতি করতে পারে। তারা আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে যে চুক্তি করেছে তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো আদানিকে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাদের জবাবদিহিতার জন্য কোনো পার্লামেন্ট নেই। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় ১৪-১৫ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সকল সম্পত্তি ভোগ করার জন্য একের পর এক বিভিন্ন রকমের অপ্রয়োজনীয় প্রজেক্টে টাকা ব্যয় করে অর্থ লুট করছে। এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তবেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।’
দেশকণ্ঠ/আসো
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা মামুন হাসান, নূরুল ইসলাম নয়ন, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কামরুজ্জামান দুলাল, জাকির হোসেন নান্নু, সাঈদ ইকবাল টিটু , খন্দকার এনামুল হক এনাম, মশিউর রহমান মিশু, রুহুল ইসলাম মনি, গিয়াস উদ্দিন মামুন, আলমগীর হাসান সোহানসহ যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী।