দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বার্ষিক বনভোজন বা পিকনিক করতে গিয়ে হতাহতের ঘটনা বেড়ে গেছে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এসব আয়োজনের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বনভোজন বা পিকনিক আয়োজনে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নয়টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মানতে হবে সাতটি নির্দেশনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বনভোজন বা পিকনিক করতে হলে প্রশাসনের এসব নির্দেশনা মানতেই হবে। ২০১১ সালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারায় ৪৫ শিক্ষার্থী। মিরসরাই উপজেলা সদর স্টেডিয়াম থেকে ফুটবল খেলা দেখে বিজয় উল্লাস করে বাড়ি ফেরার পথে চালকের অদক্ষতায় ট্রাক উল্টে সড়কের পাশের ডোবায় পড়ে যায়। ঘটে দেশের ইতিহাসের স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিহতদের মধ্যে ৪২ জনই ছিল শিক্ষার্থী।
২০১৪ সালে সেন্টমার্টিনে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করতে গিয়ে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সাগরে গোসল করতে নামেন। ছয়জন শিক্ষার্থী সে সময় ভেসে যান। পরে চারজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। খোঁজ মেলেনি দুজনের। ওই দুই ঘটনার পর সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০১৭ সালে উদ্যাপন বা পিকনিকে যাওয়ার আগে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী প্রশাসকের অনুমতি নেওয়াসহ সাত দফা শর্ত জুড়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগ পর্যন্ত এসব শর্ত মানা হয়। কিন্তু করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর তা আর মানা হচ্ছিল না। সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিকনিকের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে হতাহতের ঘটনা বেড়ে গেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এসব দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ